পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆన8 r রবীন্দ্র-রচনাবলী তৈরি করেছি, সেদিন তা হল না। বিভাপতির পদটি জেগে উঠল আমার মনে, 'এ ভরা বাদর মাহ ভাদর, শূন্ত মন্দির মোর। নিজের স্বর দিয়ে ঢালাই করে রাগিণীর ছাপ মেরে তাকে নিজের করে নিলুম। গঙ্গার ধারে সেই স্বর দিয়ে মিনে-করা এই বাদল-দিন আজও রয়ে গেছে আমার বর্ষাগানের সিন্ধুকটাতে। মনে পড়ে, থেকে থেকে বাতাসের ঝাপটা লাগছে গাছগুলোর মাথার উপর, ঝুটোপুটি বেধে গেছে ডালে-পালায়, ডিঙিনৌকাগুলো সাদা পাল তুলে হাওয়ার মুখে ঝুকে পড়ে ছুটেছে, ঢেউগুলো বাপ দিয়ে দিয়ে বাপ বাপ শৰে পড়ছে ঘাটের উপর। বৌঠাকরুন ফিরে এলেন ; গান শোনালুম তাকে ; ভালো লাগল বলেন নি, চুপ করে শুনলেন। তখন আমার বয়স হবে বোলো কি সতেরো । যা-তা তর্ক নিয়ে কথা-কাটাকাটি তখনো চলে, কিন্তু কাজ কমে গিয়েছে। তার কিছুদিন পরে বাসা বদল করা হল মোরান সাহেবের বাগানে। সেটা রাজবাড়ি বললেই হয়। রঙিন কাচের জানলা দেওয়া উচুনিচু ঘর, মাৰ্বল পাথরে বাধা মেজে, ধাপে ধাপে গঙ্গার উপর থেকেই সিড়ি উঠেছে লম্বা বারান্দায়। ঐখানে রাত জাগবার ঘোর লাগত আমার মনে, সেই সাবরমতী নদীর ধারের পায়চারি’র সঙ্গে এখানকার পায়চারির তাল মেলানো চলত। সে বাগান আজ আর নেই, লোহার দাত কড়মড়িয়ে তাকে গিলে ফেলেছে ডাত্তির কারখানা । ঐ মোরান-বাগানের কথায় মনে পড়ে এক-একদিন রান্নার আয়োজন বকুলগাছতলায় । সে রান্নায় মসলা বেশি ছিল না, ছিল হাতের গুণ । মনে পড়ে পইতের সময় বৌঠাকরুন আমাদের দুই ভাইয়ের হবিস্তান্ন রেধে দিতেন, তাতে পড়ত গাওয়া খি । ঐ তিন দিন তার স্বাদে, তার গন্ধে, মুখ করে রেখেছিল লোভীদের । আমার একটা বড়ো মুশকিল ছিল, শরীরটাকে সহজে রোগে ধরত না । বাড়ির আর-আর যে-সব ছেলে রোগে পড়তে জানত তারা পেত তার হাতের সেবা । তারা শুধু যে তার সেবা পেত তা নয়, তার সময় জুড়ে বলত। আমার ভাগ যেত কমে। সেদিনকার সেই তেতালার দিন মিলিয়ে গেল তাকে সঙ্গে নিয়ে। তার পরে জামার এল তোলার বসতি, আগেকার সঙ্গে এর ঠিক জোড়-লাগানো চলে না। ঘুরতে ঘুরতে এসে পড়েছি যৌবনের সদর দরজায়। আবার ফিরতে হল সেই ছেলেবেলার সীমানার দিকে । এবার বোলো বছর বয়সের হিলাৰ দিতে হচ্ছে। তার জারভের মুখেই দেখা » औक्नकृछिद्र ‘जांप्कांबांक’ गऋिऋप्न अग्निपिछ-ब्ररीव-ब्रानांपजी, नखनन ९७