পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষড়্‌বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৬৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৩০ ब्रशैौटण-ब्रक्रमांदलौ রীতিটা টিকে গিয়েছিল। লেখাপড়ার গরজটা ছিল ঢিলে। ছাত্রবৃত্তির নীচের ক্লাল থেকে এক সময়ে আমাদের চালান করা হয়েছিল ডিকুজ সাহেবের বেঙ্গল একাডেমিতে আর-কিছু না হোক, ভদ্রত রক্ষার মতো ইংরেজি বচন সড়গড় হবে, অভিভাবকদের এই ছিল আশা। ল্যাটিন শেখার ক্লাসে আমি ছিলুম বোবা আর কালা, সকলরকম একৃসেসাইজের খাতাই থাকত বিধবার থান কাপড়ের মতো আগাগোড়াই সাদা। আমার পড়া না করবার অদ্ভুত জেদ দেখে ক্লাসের মাস্টার ডিকুজ লাহেবের কাছে নালিশ করেছিলেন। ডিকুজ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, পড়াশোনা করবার জন্তে আমরা জন্মাই নি, মাসে মাসে মাইনে চুকিয়ে দেবার জন্তেই পৃথিবীতে আমাদের আসা। জ্ঞানবাবু কতকটা সেইরকমই ঠিক করেছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি একটা পথ কেটেছিলেন । আমাকে আগাগোড়া মুখস্থ করিয়ে দিলেন কুমারসম্ভব। ঘরে বন্ধ রেখে আমাকে দিয়ে ম্যাকবেথ তর্জমা করিয়ে নিলেন। এ দিকে রামসর্বস্ব পণ্ডিতমশায় পড়িয়ে দিলেন শকুন্তলা । ক্লাসের পড়ার বাইরে আমাকে দিয়েছিলেন ছেড়ে, কিছু ফল পেয়েছিলেন । আমার ছেলেবয়সের মন গড়বার এই ছিল মালমলল, আর ছিল বাংলা বই যা তা, তার বাছবিচার ছিল न । উঠলুম বিলেতে গিয়ে, জীবনগঠনে আরম্ভ হল বিদিশি কারিগরি— কেমিটিতে যাকে বলে যৌগিক বস্তুর স্বষ্টি । এর মধ্যে ভাগ্যের খেলা এই দেখতে পাই যে, গেলুম রীতিমত নিয়মে কিছু বিস্ত শিখে নিতে ; কিছু কিছু চেষ্ট হতে লাগল, কিন্তু হয়ে উঠল না । মেজবোঠান ছিলেন, ছিল তার ছেলেমেয়ে, জড়িয়ে রইলুম আপন ঘরের জালে । ইস্কুলমহলের আশেপাশে ঘুরেছি ; বাড়িতে মাস্টার পড়িয়েছেন, দিয়েছি ফাকি । যেটুকু আদায় করেছি সেটা মানুষের কাছাকাছি থাকার পাওনা। নানা দিক থেকে বিলেতের আবহাওয়ার কাজ চলতে লাগল মনের উপর । পালিত সাহেব? আমাকে ছাড়িয়ে নিলেন ঘরের বাধন থেকে। একটি ডাক্তারের বাড়িতে বালা নিলুম। তারা আমাকে জুলিয়ে দিলেন যে, বিদেশে এসেছি। মিসেস স্কট আমাকে যে স্নেহ করতেন সে একেবারে খাটি। আমার জন্তে সকল সময়েই মায়ের মতো ভাবনা ছিল তার মনে। আমি তখন লওন য়ুনিভর্সিটিতে ভরতি হয়েছি, ইংরেজি সাহিত্য পড়াচ্ছেন হেনরি মরলি। সে তো পড়ার বই থেকে চালান দেওয়া শুকনো মাল নয়। সাহিত্য র্তার মনে, তার গলার স্বরে প্রাণ পেয়ে উঠত— আমাদের সেই নরমে পৌছত যেখানে প্রাণ চায় আপন

  • छांब्रकनांथ wiॉजिछ