Գ Տ8 রবীন্দ্র-রচনাবলী দ্বিতীয় দৃশ্য : ২২ নম্বর ভেড়াতলা r মাতাজি অনুভব করিয়াছেন, মন্ত্রসাধনার পক্ষে ২২ নম্বরটি অনুকুল নহে । বাড়ি বদল করিতে চান । বাড়িওয়ালার ৪৯ নম্বরের বাড়িতে পশ্চিম হইতে কন্যাসহ এক বিধবা মহিলা আসিয়াছেন । স্থির হইল তাহার ৪৯ নম্বরের সহিত মাতাজির ২২ নম্বরের বাসা বদল করা হইবে । তৃতীয় দৃশ্য ; ২২ নম্বর ভেড়াতলা কন্যার মা আশঙ্কা করিতেছেন, যে-ছেলেটি মেয়ে দেখিতে আসিবে পাছে সে ৪৯ নম্বরে গিয়া খবর না পায় । এমন সময় যোগবিদ্যাপ্ৰাখী আশু আসিয়া উপস্থিত । তাহার প্রার্থনার কিরূপ পূরণ হইল। এই দৃশ্যে প্রকাশ পাইবে । গান। কী বলে করিব নিবেদন— । চতুর্থ দৃশ্য : ৪৯ নম্বর রামবৈরাগীর গলি বিবাহযোগ্য কন্যা দেখিতে আসিয়া ৪৯ নম্বরে অন্নদার কেমন করিয়া যোগবিদ্যার পরিচয় লাভ ঘটিল। এই দৃশ্যে তাঁহাই বর্ণিত । গান । এবার বুঝি সোনার মৃগ नभाg ফাল্পনীি ; গীতিনাট্য এককেই কোন পথে হারাইয়া ফিরিয়া ফিরিয়া পাই, সেই রহস্য এই গীতিনাট্যে প্রকাশ হইয়াছে। ভূমিকা ফায়ুনে বনে বনে নববসন্তের চর ও অনুচরগণের আবির্ভাব । বেণুবনের গান দখিন হাওয়া পাখির নীড়ের গান আকাশ আমায় ফুলন্ত গাছের গান ওগো নদী প্ৰথম দৃশ্য ; বনপথ নবযৌবনের দল প্ৰাণের বেগে বাহির হইয়া পড়িয়াছে। দলের মধ্যে প্ৰবীণ দাদা প্ৰাণের চাঞ্চল্য অশ্রদ্ধা করেন । তিনি উপদেশগৰ্ভ চৌপদী রচনা করিয়া তাহার অর্থ ব্যাখ্যা করিতে উৎসুক- নবযৌবনের দল তাহাতে কৰ্ণপাত করিতে অনিচ্ছুক । নবযৌবনাদলের নেতা জীবনসর্দারের প্রবেশ । কথাপ্রসঙ্গে স্থির হইল, জগতে চিরকালের যে-বুড়োটা যৌবন-উৎসবের আলোটাকে ফু দিয়া নিবাইয়া অন্ধকার করিয়া দেয় তাহাকে বন্দী করিয়া আনিয়া এবার বসন্ত-উৎসবের খেলা খেলিতে হইবে । গান । ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বহুবিবাহ (বশীকরণ) প্রহসনটিকে ফাঙ্গুনীর পূর্বে জুড়িবার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ যাহা লিখিয়াছিলেন, পরপৃষ্ঠায় তাহা মুদ্রিত হইল :“ ৫। অন্নদা। হতে পারে না। কী বলছি। হয়েছে, আবার হতে পারে না। কী । একবার হয়েছে, এই আবার দু-বার হল, তুমি বলছি হতে পারে না ! (বশীকরণ, পঞ্চম অঙ্ক, রবীন্দ্র-রচনাবলী সপ্তম খণ্ড, পৃ. ৩৮৩, সুলভ চতুর্থ পৃ. ৩৬৯)— এই উক্তির অনুবৃত্তিরূপে সংযোজনাংশটি পড়িতে হইবে।
