চিরকুমার-সভা వ తినె শ্ৰীশ । ( চকিত হইয়া ) কেন নয়। 灣 বিপিন । ঘরের সজ্জাগুলি তোমার নবীন সন্ন্যাসীদের পক্ষেও যেন বেশি বোধ झाझ । শ্ৰীশ । আমার সন্ন্যাসধর্মের পক্ষে বেশি কিছু হতে পারে না। বিপিন । কেবল নারী ছাড়া । ঐশ। হুঁ, ওই একটিমাত্র। অষ্ঠ দিনের মতে কথাটায় তেমন জোর পৌছিল না বিপিন দেয়ালের ছবি এবং অন্যান্য পাচ রকমে এ ঘরটিতে সেই নারীজাতির অনেকগুলি পরিচয় পাওয়া যায় যেন । শ্ৰীশ । সংসারে নারীজাতির পরিচয় তো সর্বত্রই আছে। বিপিন। তা তো বটেই। কবিদের কথা যদি বিশ্বাস করা যায় তা হলে চাদে ফুলে লতায় পাতায় কোনোখানেই নারীজাতির পরিচয় থেকে হতভাগ্য পুরুষ-মানুষের নিস্কৃতি পাবার জো নেই। শ্ৰীশ । ( হাসিয়া ) কেবল ভেবেছিলুম, চন্দ্রবাবুর বাসার সেই এক তলার ঘরটিতে রমণীর কোনো সংস্রব ছিল না। আজ সে ভ্রমটা হঠাৎ ভেঙে গেল। না, ওরা পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়েছে । বিপিন। বেচার চিরকুমার ক'টির জন্যে একটা কোনো ফাক রাখে নি। সভ করবার জায়গা পাওয়াই দায় । । শ্ৰীশ । এই দেখে-না। কোণের একটা টিপাই হইতে গোটাদুয়েক চুলের কাট৷ তুলিয়া দেখাইল বিপিন । ( কাটা দুটি লইয়া পর্যবেক্ষণ করিয়া ) ওহে ভাই, এ স্থানটা তে কুমারদের পক্ষে নিষ্কণ্টক নয় । শ্ৰীশ । ফুলও আছে, কঁাটাও আছে । বিপিন । সেইটেই তো বিপদ । কেবল র্কাটা থাকলে এড়িয়ে চলা যায়। স্ত্রশ অপর কোণের ছোটো বইয়ের শেলক হইতে বইগুলি তুলিয়া দেখিতে লাগিল— কতকগুলি নভেল কতকগুলি ইংরাজি কাব্যসংগ্রহ। প্যালগ্রেভের গীতৃিকায্যের স্বর্ণভাণ্ডার খুলিয়া দেখিল মার্জিনে মেয়েলি অক্ষরে নোট লেথা— তখন গোড়ার পাতাটা উণ্টাইয়া দেখিল দেখিয় একটু নাড়িয়া-চাড়ির বিপিনের সম্মুখে ধরিল বিপিন। নৃপবালা ! আমার বিশ্বাস নামটি পুরুষ মানুষের নয়। কী বোধ কর।
