সংগীতচিন্তা (eo) শান্তিভঙ্গের উৎপাত থেকে নিরন্ত হতে অনুরোধ করি।... . এত বড়ো চিঠি লিখে ভাঙা শীরের বিরুদ্ধে যথেষ্ট অপরাধ করেছি। কিন্তু রোগ-দেীর্বল্যের আঘাতের চেয়েও বড়ো আঘাত আছে, তাই থাকতে পারলুম না। কথাও সুরকে বেগ দেয়, সুরও কথাকে বেগ দেয়, উভয়ের মধ্যে আদান-প্রদানের স্বাভাবিক সম্বন্ধ আছে; রসসৃষ্টিতে এদের পরিণয়কে হেয় করতে হবে যেহেতু সাংগীতিক মনুসংহিতায় একে অসবর্ণবিবাহ বলে, আমার মতো মুক্তিকামী এটা সইতে পারে না। সংগীতে চিরকুমারদের আমি সম্মান করি যেখানে সম্মানের তারা যোগ্য, কিন্তু কুমার-কুমারীদের সুন্দর রকম মিলন হলে আনন্দ করতে আমার বাধে না। বিবাহে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা নষ্ট হয়ে শক্তি হ্রাস করে এ কথা সত্য হতেও পারে, না হতেও পারে, এমন হতেও পারে এক রকম শক্তিকে সংযত করে আর-এক রকম শক্তিকে পূর্ণতা দেয়। সেদিন মন্টুর ^ গান অনেকগুলি ও অনেকক্ষশ ধরে শুনেছি।..“হে ক্ষণিকের অতিথি” মন্টু সেদিন গেয়েছিল- সূরের মধ্যে কোনো পরিবর্তন ঘটায় নি। তার মধ্যে ও যে ধাক্কা লাগিয়েছিল সেটাতে গানের ভাবের চাইতে ভঙ্গি প্রবল হয়ে উঠেছিল। দেখলুম শ্রোতাদের ভালো লাগল। গানের প্রকাশ সম্বন্ধে গায়কের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অগত্যা মানতেই হবে- অর্থাৎ গানের দ্বারা গায়ক নিজের অনুমোদিত বিশেষ ভাবের ব্যাখ্যা করে- যে ব্যাখ্যা রচয়িতার অন্তরের সঙ্গে না মিলতেও পারে- গায়ক তো গ্রামোফোন নয়। তুমি যখন আমার গান করো শুনলে মনে হয় আমার গান রচনা সার্থক হয়েছে- যে গানে যতখানি আমি আছি ততখানি ঝুনুও ২ আছে-এই মিলনের দ্বারা যে পূর্ণতা ঘটে সেটার জন্যে রচয়িতার সাগ্রহ প্ৰতীক্ষা আছে। আমি যদি সেকালের সম্রাট গানের একান্ত প্রয়োজন আছে।... ইতি ৪।৪।। ৩৮ --রমবীণা, ১ম বর্ষ ১ম সংখ্যা, ১৩৬৬, পৃ. ১-২ কালিম্পঙ। ২৯ এপ্রিল ১৯৩৮ বিশ্বসৃষ্টিতে রসবৈচিত্র্যের সীমা নেই, কবির মন তার সকল দিকেই স্পৰ্শসচেতন কেবলমাত্র একটা প্রেরণাতেই, তা সে যত বড়োই হোক, যেন তার রাগরাগিণী নিঃশেষিত না R ... -- ইতিমধ্যে মন্ট বিখ্যাত গায়িকা কেসারবাইকে এনেছিল আমাকে গান শোনাবার জন্যে। আশ্চর্য তার সাধনা, কণ্ঠে মাধুৰ্য আছে, যেমন তেমন করে সুর খেলাতে এবং সুরে খেলাতে এবং সুরে ऽ मिौनकूभाद्र ब्राम ২ “এক্সপ্রেশন ভেদ থাকবেই - যাকে তুমি বলহু ইন্টারপ্রেটেশনের স্বাধীনতা। বলেছিলে বিলেতেও গায়কবাদকের এ স্বাধীনতা মাের। মজুর হতে বাধ্য। সাহানার মুখে যখন আমার গান শুনতাম তখন কি আমি শুধু আপনাকেই শুনতাম ? না তো। সাহানাকেও শুনতাম- বলতে হাত- ‘আমার গান সাহােনা গাইছে।”-দিলীপকুমার XTCR 76 : ColorseR : ‘তীৰ্থন্তর’। à Noe
