পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তদশ খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্ৰহপরিচয় । Ae ‘শৈশব সঙ্গীত’ কাব্যের পরিশিষ্টরাপে “অবসাদ” সংগ্রথিত হইয়াছে। ১৬. শিরোনামহীন এই কবিতাটি গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর -গৃহীত একটি আলোকচিত্ৰ গ্ৰহণ উপলক্ষে অথবা আলোকচিত্রটি দেখিয়া রবীন্দ্রনাথ রচনা করেন। গগনেন্দ্রনাথের ফোটোগ্রাফি-চৰ্চার সময়ের হিসাব অনুমান করিয়া কবিতাটির রচনাকাল ১৮৯০ হইতে ১৮৯৫ খৃস্টাব্দের মধ্যে, এইৱাপ ধরা যাইতে পারে। কবিতায় যে-পাঁচজন বন্ধুর উল্লেখ আছে, তাহারা অবনীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ, সমরেন্দ্রনাথ, সত্যপ্ৰসাদ গঙ্গোপাধ্যায় ও হরিশচন্দ্ৰ হালদার। রবীন্দ্রনাথও সম্ভবত এই সান্ধ্য-মজলিশের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, ঘটনার অনুপুঙ্খ বর্ণনা পড়িয়া তাহা অনুমান করা যাইতে পারে। এই কবিতা-বিষয়ে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যাদি আছে, - SBDDBD rBBBD DDSDBBB SLLDSD DBDDBBS ১৭. ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায়কে (১২৫৮-১৩১০) লেখা রবীন্দ্রনাথের চিঠিপত্রের সহিত “শারদা” কবিতাটির সন্ধান পাইয়া অমরেন্দ্ৰনাথ রায় “ভারতবর্ষ’ পত্রিকার কীর্তিক ১৩২৪ সংখ্যায় “সাহিত্য-প্রসঙ্গ” (পৃ. ৫৭৭) নিবন্ধের মধ্যে মুদ্রিত করেন। ১৩০১ হইতে ১৩০৯ বঙ্গাব্দের মধ্যে কোনো সময়ে কবিতাটি রচিত হয় বলিয়া অনুমান। এই সময়সীমার মধ্যে রবীন্দ্রনাথের সহিত ঠাকুরদাসের যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। কোনো সাময়িক পত্রিকার শারদ সংখ্যার জন্য কবিতাটি রচিত হইয়াছিল এরূপ অনুমান করা যায়, কিন্তু কোথাও মুদ্রিত হইয়াছিল কি না, আমাদের জানা নাই। অমরেন্দ্ৰনাথ রায় বর্তমান প্রসঙ্গে যাহা লিখিয়াছেন, এখানে তাহা উদধূত হইল রবীন্দ্রবাবু ঠাকুরদাসবাবুকে যে সকল পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহার একখানির মধ্যে তাহার হাতের লেখা “শারদা' শীৰ্ষক একটি চতুৰ্দশপদী কবিতা পাইয়াছি। কবিতাটি কোথাও মুদ্রিত হইয়াছে কি না জানি না। সময়োপযোগী বোধে আমরা পত্রের সঙ্গে তাহা মুদ্রিত করিলাম।-- t যোড়াসাঁকো সাদর নমস্কার নিবেদন আমি আগামী সোমবার রাত্ৰে বোলপুর শান্তি-নিকেতন’ উদ্যানে যাত্ৰা করিব। ইতিমধ্যে কখন আপনি আমার সহিত দেখা করিতে পরিবেন লিখিয়া পাঠাইলে সুখী হইব। ইতি। শনিবার শ্ৰী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মালতীপুথি-ধূত কবিতাবলী। রবীন্দ্রভবন অভিলেখাগারে সংরক্ষিত, এ-তাবৎ প্রাপ্ত, সর্বপ্রাচীন রবীন্দ্ৰ-পাণ্ডুলিপি ‘মালতী পুথি' (অভিজ্ঞান সংখ্যা ২৩১) হইতে ১৩টি কবিতা রবীন্দ্র-রচনাবলীর বর্তমান খণ্ডে সংকলিত হইল। দিল্লির লেডি আরউইন স্কুলের অধ্যাপিকা মালতী সেন ১৯৪৩ খৃস্টাব্দের প্রথম দিকে এই পাণ্ডুলিপি বিশ্বভারতীকে দান করেন। তাহার নাম হইতেই পাণ্ডুলিপিটির ‘মালতীপুথি' নামকরণ হইয়াছে। এই পাণ্ডুলিপি সম্বন্ধে প্ৰবোধচন্দ্র সেনের প্রবন্ধ “মালতীপুথি :- পাণ্ডুলিপি-পরিচয়” “রবীন্দ্ৰ-জিজ্ঞাসা প্রথম খণ্ড (১৯৬৫), বর্তমান প্রসঙ্গে দ্রষ্টব্য। তাহার যুক্তি অনুসারে পাণ্ডুলিপিভুক্ত রচনাবলী ১৮৭৪ খৃস্টােব্দ হইতে ১৮৮২ খৃস্টােব্দ কালসীমার মধ্যে রচিত। পরবর্তীকালে ‘রবীন্দ্রবীক্ষা” সংকলন ৮ পৌষ ১৩৮৯ সংখ্যায় প্রকাশিত কানাই সামন্তর ‘মালতীপুথি পর্যালোচনায় নূতনতর কিছু আলোচনা আছে। বর্তমান রচনাবলীতে ‘মালতীপুথিভুক্ত যে-সকল কবিতা সম্পূর্ণ বলিয়া বিবেচিত সেগুলি গৃহীত হইল। সংকলিত কবিতাবলীর মধ্যে শিরোনামযুক্ত একমাত্র কবিতা উপহার-গীতি”। শিরোনামহীন কবিতাগুলির ক্ষেত্রে কবিতার প্রথম ছত্র অথবা প্ৰথম ছত্রের অংশবিশেষ । NA | 8