পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$8 ब्रदौञ्ज-ब्रध्नांवलौ দীর্ঘনিশ্বাসের স্তায় সমীরণের হু-হু শৰ, এবং নিশীথের মর্মভেদী একতানবাহী যে-একটি গষ্ঠীর ধ্বনি আছে, তাহাই শুনিতেছিলেন। তিনি দেখিতেছিলেন অন্ধকারের সমুদ্রতলে সমস্ত জগৎ ডুবিয়া গিয়াছে, দুরন্থ শ্মশানক্ষেত্রে দুই-একটি চিতানল জ্বলিতেছে, দিগন্ত হইতে দিগন্ত পর্যন্ত নীরন্ধ স্তম্ভিত মেৰে জাকাশ অন্ধকার। সহসা শুনিলেন উচ্ছ্বসিত স্বরে কে কহিল, “ভাই অমর”— এই অমৃতময়, স্নেহময়, স্বপ্নময় স্বর শুনিয়া উাহার স্মৃতির সমুত্র আলোড়িত হইয়া উঠল। ফিরিয়া দেখিলেন – কমল। মুহূর্তের মধ্যে নিকটে আসিয়া বাহুপাশে র্তাহার গলদেশ বেষ্টন করিয়া স্বন্ধে মন্তক রাখিয়া কহিল, “ভাই অমর”— অচলহৃদয় অমরও অন্ধকারে অশ্রু বিসর্জন করিলেন, আবার সহসা চকিতের স্তায় দূরে সরিয়া গেলেন। কমল অমরকে কত কী কথা বলিল, অমর কমলকে দুই-একটি উত্তর দিলেন। সরলা আসিবার সময়ে যেরূপ উৎফুল্লহৃদয়ে হাসিতে হাসিতে আলিয়াছিল যাইবার সময় সেইরূপ ম্রিয়মাণ হুইয়া কাদিতে কঁাদিতে চলিয়া গেল । কমল ভাবিয়াছিল সেই ছেলেবেলাকার অমর ফিরিয়া আসিয়াছে, আর আমি সেই ছেলেবেলাকার কমল কাল হইতে আবার খেলা করিতে আরম্ভ করিব। যদিও আমর মর্মের গভীরতলে সাংঘাতিক আহত হুইয়াছিলেন, তথাপি তিনি কমলের উপর কিছুই ক্রুদ্ধ হন নাই বা অভিমান করেন নাই। উহার জন্য বিবাহিতা বালিকার কর্তব্যকর্মে বাধা না পড়ে এই নিমিত্ত তিনি তাহার পরদিন কোথায় যে চলিয়া গেলেন তাহ কেহই স্থির করিতে পারিল না। বালিকার স্বকুমার হৃদয়ে দারুণ বজ্ৰ পড়িল । অভিমানিনী কতদিন ধরিয়া ভাবিয়াছে যে,এত দিনের পর সে বাল্যসখা অমরের কাছে ছুটিয়া গেল, অমর কেন তাহাকে উপেক্ষা করিল। কিছুই ভাবিয়া পায় নাই। একদিন তাহার মাতাকে ঐ কথা জিজ্ঞাসা করিয়াছিল, মাতা তাহাকে বুঝাইয়া দিয়াছিলেন যে, কিছুকাল রাজসভার জাতৃদ্বয়রাশির মধ্যে থাকিয় সেনাপতি অমরসিংহ পর্ণকুটিরবাসিনী ভিখারিনী ক্ষুত্র বালিকাটিকে ভুলিয়া যাইবেন তাহাতে অসম্ভব কী আছে। এই কথায় দরিত্র বালিকার অন্তরতম দেশে শেল বিধিয়াছিল। অমরসিংহ তাহার প্রতি নিষ্ঠুরাচরণ করিল মনে করিয়া कशज कहे भाग्न नाहे । श्उडांत्रिनौ स्राविड, ‘आंषि मब्रिज, चांथांब्र किङ्कहे नाहे, जावांद्र কেহই নাই, আমি বুদ্ধিহীন ক্ষুদ্র বালিকা, তাহার চরণরেণুরও ৰোগ্য মহি, তবে উহাকে ভাই বলিব কোন অধিকারে! তাহাকে ভালোবালিব কোন অধিকারে। জামি দরিত্র কমল, আমি কে যে তাহার স্নেহ প্রার্থনা করিব ?