পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা গান্ধী ২৯৭ ব্যাবসা চালিয়েছে । অস্ত্রশস্ত্র সৈন্যসামন্ত ভালো করে দাড়াবার জায়গা পেত না যদি আমাদের দুর্বলতা তাকে আশ্রয় না দিত। পরাভবের সবচেয়ে বড়ো উপাদান আমরা নিজের ভিতর থেকেই জুগিয়েছি। এই আমাদের আত্মকৃত পরাভব থেকে মুক্তি দিলেম মহাত্মাঞ্জি ; নববীর্যের অনুভূতির বস্তাধারা ভারতবর্ষে প্রবাহিত করলেন। এখন শাসনকর্তারা উদ্যত হয়েছেন আমাদের সঙ্গে রফানিস্পত্তি করতে ; কেননা তাদের পরশাসনতন্ত্রের গভীরতর ভিত্তি টলেছে, যে ভিত্তি আমাদের বীর্যহীনতায় । আমরা অনায়াসে আজ জগৎসমাজে আমাদের স্থান দাবি করছি । তাই আজ আমাদের জানতে হবে, ষে মানুষ বিলেতে গিয়ে রাউণ্ড, টেবল কনফারেন্সে তর্কযুদ্ধে যোগ দিয়েছেন, যিনি খদ্দর চরকা প্রচার করেন, যিনি প্রচলিত চিকিৎসাশাস্থে বৈজ্ঞানিক-যন্ত্রপাতিতে বিশ্বাস করেন বা করেন না— এই-সব মতামত ও কর্মপ্রণালীর মধ্যে যেন এই মহাপুরুষকে সীমাবদ্ধ করে না দেখি। সাময়িক যে-সব ব্যাপারে তিনি জড়িত তাতে উার ক্রটিও ঘটতে পারে, তা নিয়ে তর্কও চলতে পারে —কিন্তু এহু বাহ । তিনি নিজে বারংবার স্বীকার করেছেন, তার ভ্রাস্তি হয়েছে ; কালের পরিবর্তনে তাকে মত বদলাতে হয়েছে। কিন্তু এই-ষে অবিচলিত নিষ্ঠা ষা র্তার সমস্ত জীবনকে অচলপ্রতিষ্ঠ করে তুলেছে, এই-ষে অপরাজেয় সংকল্পশক্তি, এ তার সহজাত, কর্ণের সহজাত কবচের মতো— এই শক্তির প্রকাশ মানুষের ইতিহাসে চিরস্থায়ী সম্পদ। প্রয়োজনের সংসারে নিত্যপরিবর্তনের ধারা বয়ে চলেছে, কিন্তু সকল প্রয়োজনকে অতিক্রম করে যে মহাজীবনের মহিমা আজ আমাদের কাছে উদ্বাটিত হল তাকেই যেন আমরা শ্রদ্ধা করতে শিথি । মহাত্মাঞ্জির জীবনের এই তেজ আজ সমগ্র দেশে সঞ্চারিত হয়েছে, আমাদের স্নানতা মার্জন করে দিচ্ছে। তার এই তেজোদীপ্ত সাধকের মূর্তিই মহাকালের আসনকে অধিকার করে আছেন । বাধা-বিপত্তিকে তিনি মানেন নি, নিজের ভ্রমে তাকে খর্ব করে নি, সাময়িক উত্তেজনার ভিতরে থেকেও তার উর্ধ্বে তার মন অপ্ৰমত্ত। এই বিপুল চরিত্রশক্তির আধার যিনি তাকেই আজ তার জন্মদিনে আমরা নমস্কার করি। পরিশেষে আমার বলবার কথা এই যে, পূর্বপুরুষের পুনরাবৃত্তি করা মচুন্যধর্ম নয়। बौषजढ उॉ८कब्र औ4 बङाitनम्न वांनां८क ॐाकाफ़ शाग्न थांहक ; शांश्य यूर्ण मूर्भ बद নব স্বটিতে আত্মপ্রকাশ করে, পুরাতন সংস্কারে কোনোদিন তাকে বেঁধে রাখতে পারে না। মহাত্মাজি ভারতবর্ষের বহুযুগব্যাপী অন্ধত মূঢ় আচারের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ এক দিক থেকে জাগিয়ে তুলেছেন, আমাদের সাধন হোক সকল দিক থেকেই তাকে