পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धुंडे & S.S আৰাত পেয়েছেন, বিৱৰত वजाऊांग्न नष्कैन शब्राझम, निईब्र वृछ्रङ ऊँीब्र औदनांछ হয়েছিল। এই যে পরম দুঃখের আলোকে মানুষের মন্থন্তত্ব চিরকালের মতো দেদীপ্যমান হয়ে আছে এ তো বইপড়া ব্যাপার নয়। এখানে দেখছি মানুষকে দুঃখের আগুনে উজ্জল । একে উপলব্ধি করা সহজ ; শাস্ত্রবাক্যকে তো আমরা ভালোবাসতে পারি নে। সহজ হয় আমাদের পথ, যদি আমরা ভালোবাসতে পারি তাদের ধারা মাহুষকে ভালোবেসেছেন। বুদ্ধ যখন অপরিমেয় মৈত্রী মানুষকে দান করেছিলেন তখন তো তিনি কেবল শাস্ত্র প্রচার করেন নি, তিনি মানুষের মনে জাগ্রত করেছিলেন ভক্তি। সেই ভক্তির মধ্যেই যথার্থ মুক্তি। খৃষ্টকে ধারা প্রত্যক্ষভাবে ভালোবাসতে পেরেছেন তারা শুধু একা বসে রিপু দমন করেন নি, তারা দুঃসাধ্য সাধন করেছেন। র্তার গিয়েছেন দূর-দূরান্তরে, পর্বত সমূদ্র পেরিয়ে মানবপ্রেম প্রচার করেছেন। মহাপুরুষেরা এইরকম আপন জীবনের প্রদীপ জালান ; তারা কেবল তর্ক করেন না, মত প্রচার করেন না। তারা আমাদের দিয়ে যান মানুষরূপে আপনাকে । খৃষ্টের প্রেরণা মানবসমাজে আজ ছোটো বড়ো কত প্রদীপ জালিয়েছে, অনাথপীড়িতদের দুঃখ দূর করবার জন্তে তারা অপরিসীম ভালোবাসা ঢেলে দিয়েছেন। কী দানবতা আজ চার দিকে, কলুষে পৃথিবী আচ্ছন্ন— তৰু বলতে হবে : স্বল্পমপ্যস্ত ধর্মস্ত ত্ৰায়তে মহতো ভয়াং । এই বিরাট কলুবনিবিড়তার মধ্যে দেখা যায় না তাদের ধারা মানবসমাজের পুণ্যের আকর। কিন্তু তার নিশ্চয়ই আছেন— নইলে পৃথিবী অভিশপ্ত হত, সমস্ত সৌন্দর্য মান হয়ে যেত, সমস্ত মানবলোক অন্ধকারে অবলুপ্ত হত। ২৫ ডিসেম্বর ১৯৩৬ চৈত্র ১৩৪৩ শাস্তিনিকেতন