পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Č O o রবীন্দ্র-রচনাবলী পল্লীপ্রকৃতি ' মৌমাছি মৌচাক রচনা করলে, তার গোড়াকার কথাটা তাদের অল্পের ব্যবস্থা। ফুলে ফুলে কণ কণা মধু ; কোনো ঋতু উদার, কোনো ঋতু কৃপণ, যে মৌমাছিরা দল বেঁধে সংগ্রহ আর দল বেঁধে সঞ্চয় করতে পারলে, মৌচাকে পত্তন হল তাদের লোকালয় । লোকালয় বলতে কেবলমাত্র অনেকে একত্র छयां श्eब्रांब्र अभिउक्लश्न मञ्च, दJदशद्रमौङि-दांब्री ७झे ७कख छष ए७ग्रांद्र ७कफै। কল্যাণরূপ । অনেকে ভোগ করবার থেকে যেটা আরম্ভ হল অনেকে ত্যাগ করবার দিকে সেট। নিয়ে গেল। নিজের জন্য কাজ করার চেয়ে সকলের জন্তে কাজ করাটা হয়ে উঠল বড়ো, সকলের প্রাণযাত্রার মধ্যেই নিজের প্রাণের সার্থকতা বোধ জন্মাল— এরই থেকে বর্তমান কালকে ছাড়িয়ে অনাগত কালকে সত্য বলে উপলব্ধি করা সম্ভব হল ; যে দান নিজের আয়ু-কালের মধ্যে নিজের কাছে পৌছবে না, সে দানেও কৃপণতা রইল না ; লোকালয় বলতে এমন একটি আশ্রয় বোঝাল যেখানে নিজের সঙ্গে পরের, বর্তমানের সঙ্গে ভাবীকালের অবিচ্ছিন্ন সম্বন্ধ প্রসারিত। এই হল অল্পব্রহ্মের তত্ত্ব, অর্থাং অন্ন যেই বৃহং হয়েছে অমনি সে স্থলভাবে অল্পকে ছাড়িয়ে এমন-একটি সত্যকে প্রকাশ করেছে যা মহান । আদিমকালে পশুশিকার করে মানুষ জীবিকানির্বাহ করত, তাতে লোকালয় জমে উঠতে পারে নি। অনিশ্চিত অন্ন-আহরণের চেষ্টায় সকলে এক এক ঘুরে বেড়িয়েছে। তখন তাদের স্বভাব ছিল হিংস্র, দস্থাবৃত্তি ছিল ব্যবসায়, ব্যবহার ছিল অসামাজিক । মাহুষের অন্নব্যবস্থা স্বনিশ্চিত ও প্রচুর হতে পেরেছে বড়ো বড়ে নদীর কূলে— যেমন নীলনদী, ইয়াংসিকিয়াং, অক্সাস, য়ুফ্রেটিস, গঙ্গা, যমুনা— সেইখানে জন্মেছে বড়ো বড়ো সভ্যতা, অর্থাৎ লোকালয়বদ্ধনের স্বব্যবস্থা। পলিমাটিতে ভূষিকৰ্ষণ করে মাহুৰ ৰখন একই জায়গায় বৎসরে বংগরে প্রচুর ফসল ফলিয়ে তুললে তখনি অনেক লোক এক স্থানে স্থায়ীভাবে আবাস পত্তন করতে পারল— তখনি পরম্পরকে বঞ্চিত করার চেয়ে পরস্পরকে আহ্লকুল্য করায় মানুষ সফলতা দেখতে পেলে । একত্র মেলবার যে সামাজিক মনোবৃত্তি ভিতরে ভিতরে মানুষের পক্ষে স্বাভাবিক, অল্পসংস্থানের স্বযোগের দ্বারা সেইটে জোর পেয়ে উঠল। মানুষ ভূমিমাতার নিমন্ত্রণ পেলে, একত্র সবাই পাত পেড়ে বসল, তখন পরস্পরের ভ্রাতৃত্বের সন্ধান মিলল, বহুপ্রাণ এক-জয়ের দ্বারা এক প্রাণের সম্বন্ধ স্বীকার করল। তখন দেখতে পেলে পরম্পরের ৰোগ কেবলমাত্র