(té e রবীন্দ্র-রচনাবলী করতে সাহায্য করব, নানা দিকে তার আত্মপ্রকাশের নানা পথ খুলে যাবে। এই রূপস্থষ্টি কেবল ধনলাভ করবার অভিপ্রায়ে নয়, আত্মলাভ করবার উদ্দেশে । একটা দৃষ্টান্ত দিই। কাছের কোনো গ্রামে আমাদের মেয়ের সেখানকার মেয়েদের সূচিশিল্পশিক্ষার প্রবর্তন করেছিলেন। তাদের কোনো একজন ছাত্রী একখানি কাপড়কে স্বন্দর করে শিল্পিত করেছিল। সে গরিব ঘরের মেয়ে। তার শিক্ষয়িত্রীরা মনে করলেন ঐ কাপড়টি যদি তারা ভালো দাম দিয়ে কিনে নেন তা হলে তার উৎসাহ হবে এবং উপকার হবে। কেনবার প্রস্তাব শুনে মেয়েটি বললে, “এ আমি বিক্রি করব না।’ এই-বে আপন মনের স্মৃষ্টির আনন্দ, যার দাম সকল দামের বেশি, একে অকেজো বলে উপেক্ষা করব নাকি ? এই আনন্দ যদি গভীরভাবে পল্লীর মধ্যে সঞ্চার করা যায় তা হলেই তার যথার্থ আত্মরক্ষার পথ করা যায়। যে বর্বর কেবলমাত্র জীবিকার গণ্ডিতে বাধা, জীবনের আনন্দ-প্রকাশে যে অপটু, মানবলোকে তার অসন্মান সকলের চেয়ে শোচনীয়। আমাদের কর্মব্যবস্থায় আমরা জীবিকার সমস্যাকে উপেক্ষা করি নি, কিন্তু সৌন্দর্যের পথে আনন্দের মহার্যতাকেও স্বীকার করেছি। তাল ঠোকার স্পৰ্ধাকেই আমরা বীরত্বের একমাত্র সাধনা বলে মনে করি নি। আমরা জানি, যে গ্রীস একদা সভ্যতার উচ্চচূড়ায় উঠেছিল তার মৃত্যগীত চিত্রকলা নাট্যকলায় গোঁসাম্যের অপরূপ ঔংকৰ্য কেবল বিশিষ্ট সাধারণের জন্তে ছিল না, ছিঙ্গ সর্বসাধারণের জন্তে । এখনো আমাদের দেশে অকৃত্রিম পঞ্জীহিতৈষী অনেকে আছেন ধারা সংস্কৃতির ক্ষেত্রে পল্লীর প্রতি কর্তব্যকে সংকীর্ণ করে দেখেন। তাদের পল্লীসেবার বরাদ্দ কৃপণের মাপে, অর্থাৎ তাদের মনে যে পরিমাণ দয়া সে পরিমাণ সন্মান নেই। আমার মনের ভাব তার বিপরীত। সচ্ছলতার পরিমাপে সংস্কৃতির পরিমাপ একেবারে বর্জনীয়। তহবিলের ওজন-দরে মন্থন্তত্বের সুযোগ বণ্টন করা বণিগ বৃত্তির নিকৃষ্টতম পরিচয় । আমাদের অর্থসামর্থ্যের অভাব-বশত আমার ইচ্ছাকে কর্মক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে প্রচলিত করতে পারি নি— তা ছাড়া ধার কর্ম করেন তাদেরও মনে ত্তিকে ঠিকমত তৈরি করতে সময় লাগবে। তার পূর্বে হয়তো আমারও সময়ের অবসান হবে, আমি কেবল আমার ইচ্ছা জানিয়ে যেতে পারি। ধারা স্কুল পরিমাণের পূজারি তার প্রায় বলে থাকেন যে, আমাদের সাধনক্ষেত্রের পরিধি নিতান্ত সংকীর্ণ, স্বতরাং সমস্ত দেশের পরিমাণের তুলনায় তার ফল হবে অকিঞ্চিৎকর । এ কথা মনে রাখা উচিত— সত্য প্রতিষ্ঠিত আপন শক্তিমহিমায়, পরিমাণের দৈর্ঘ্যে প্রন্থে নয় । দেশের যে অংশকে আমরা সত্যের দ্বারা গ্রহণ করি
