পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পল্লীপ্রকৃতি (te& সম্পূর্ণতা দান করছে, কিন্তু মুশকিল হচ্ছে মানুষকে নিয়ে। মানুষ তার ও প্রকৃতির মাঝখানে আর-একটি জগৎকে স্বষ্টি করেছে ৰাতে প্রকৃতির সঙ্গে তার আদান ও প্রদানের ৰোগ-প্রতিৰোগে বিঘ্ন ঘটছে। সে ইটকাঠের প্রকাও ব্যবধান তুলে দিয়ে মাটির সঙ্গে আপনার বিচ্ছেদ ঘটিয়েছে। মানুষের মতো বুদ্ধিজীবী প্রাণীর পক্ষে এই-সকল আয়োজন উপকরণ অনিবার্য সে কথা মানি ; তবুও এ কথা তাকে তুললে চলবে না ষে, মাটির প্রাণ থেকে ষে তার প্রাণময় সত্তার উদ্ভব হয়েছে,গোড়াকার এই সত্যকে লঙ্ঘন করলে সে দীর্ঘকাল টিকতে পারে না। মানুষ প্রাণের উপকরণ যদি মাটিকে ফিরিয়ে দেয় তবেই মাটির সঙ্গে তার প্রাণের কারবার ঠিকমত চলে, তাকে ফাকি দিতে গেলেই নিজেকে ফাকি দেওয়া হয় । মাটির খাতায় যখন দীর্ঘকাল কেবল খরচের অঙ্কই দেখি আর জমার বড়ো-একটা দেখতে পাই নে তখন বুৰতে পারি দেউলে হতে আর বড়ো বেশি বাকি নেই। বক্তামহাশয় বলেছেন প্রাচীনকালে পৃথিবীর বড়ো বড়ো সভ্যতা আবিস্তৃত হয়ে আকার নানা বাধা পেয়ে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সভ্যতাগুলির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ জনতাবহুল শহরের প্রাদুর্ভাব হয়েছে এবং তাতে করে পূর্বে ষে মাটিতে অন্নবস্ত্রের সংস্থান হত অথচ তা জরিত্র হত না, সে মাটি শহরে মানুষদের দাবিদাওয়া সম্পূর্ণরূপে মিটাতে পারল না। এমনি করে সভ্যতাগুলির ক্রমে ক্রমে পতন হতে লাগল। অবগু আধুনিককালে অন্তর্বাণিজ্য হওয়াতে শহরবাসীদের অনেক স্ববিধা হয়েছে। এক জায়গাকার মাটি দেউলে হয়ে গেলেও অস্ত জায়গার অতিরিক্ত ফসলের আমদানি হচ্ছে । এমনি করে খাওয়া-দাওয়া সচ্ছন্দে চলছে কিন্তু মাটিকে অবহেলা করলে মানুষকে নিশ্চয়ই একদিন কোনোখানে এসে ঠেকতে হবে। যেমন প্রাণের চক্র-আবর্তনের কথা বলা হয়েছে তেমনি মনেরও চক্র-আবর্তন আছে, সেটাকেও অব্যাহত রাখতে হবে সে কথা মনে রাখা চাই। আমরা সমাজের সন্তান, তার থেকে যে দান গ্রহণ করে মনকে পরিপুষ্ট করছি তা যদি তদনুরূপ না ফিরিয়ে দিই, তবে খেয়ে খেয়ে সব নষ্ট করে ফেলব। মানুষের সমাজ কত চিন্তা কত ত্যাগ কত তপস্তায় তৈরি, কিন্তু যদি কখনো সমাজে সেই চিন্তা ও ভ্যাগের স্রোতের আবর্তন অবরুদ্ধ হয়ে ৰায়, মাকুবের মন যদি নিশ্চেষ্ট হয়ে প্রথার অনুসরণ করে, তা হলে সমাজকে ক্রমাগত সে ফাকি দেয় ; এবং সে সমাজ কখনো প্রাণবান প্রাণপ্রজ হতে পারে না, চিত্তশক্তির দিক থেকে সে সমাজ দেউলে হতে থাকে। ভারতবর্ষে সমাজের ক্ষেত্র ও বিস্তৃতি হচ্ছে পল্লীগ্রামে। যদি তার পল্লীসমাজ নূতন চেষ্টা চিন্তা ও चषाषगांtब्र बा थबूख हम्न ऊरद उ बिखौंप श्रब्र बांद्रष । ר סורא