পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 || *a-- האד *", li, f | H i. f * * * r * * f § # : t

    • \S)

দুই বছর শচীশের কোনো খবর পাইলাম না। শচীশকে একটুও নিন্দা করিতে আমার মন সরে না, কিন্তু মনে মনে এ কথা না ভাবিয়া থাকিতে পারিলাম না যে, যে সুরে শচীশ বাধা ছিল এই নাড়া খাইয়া তাহা নামিয়া গেছে । একজন সন্ন্যাসীকে দেখিয়া একবার জ্যাঠামশায় বলিয়াছিলেন : সংসার মাতুষকে পোদারের মতো বাজাইয়া লয়, শোকের ঘা, ক্ষতির ঘা, মুক্তির লোভের ঘা দিয়া । যাদের স্থর দুর্বল পোদ্দার তাহাদিগকে টান মারিয়া ফেলিয়া দেয় ; এই বৈরাগীগুলো সেই ফেলিয়াদেওয়া মেকি টাকা, জীবনের কারবারে অচল । অথচ এরা জাক করিয়া বেড়ায় যে এরাই সংসার ত্যাগ করিয়াছে। যার কিছুমাত্র যোগ্যতা আছে সংসার হইতে তার কোনোমতে ফস্কাইবার জো নাই । শুকনো পাতা গাছ হইতে ঝরিয়া পড়ে, গাছ তাকে ঝরাইয়া ফেলে বলিয়াই— সে যে আবর্জন – এত লোক থাকিতে শেষকালে শচীশই কি সেই আবর্জনার দলে পড়িল ? শোকের কালে কষ্টিপাথরে এই কথাটা কি লেখা হইয়া গেল যে, জীবনের হাটে শচীশের কোনো দর নাই ? এমন সময় শোনা গেল চাটগায়ের কাছে কোন-এক জায়গায় শচীশ– আমাদের শচীশ– লীলানন্দ স্বামীর সঙ্গে কীর্তনে মাতিয়া করতাল বাজাইয়া পাড়া অস্থির করিয়া নাচিয়া বেড়াইতেছে । একদিন কোনোমতে ভাবিয়া পাই নাই শচীশের মতো মানুষ কেমন করিয়া নাস্তিক হইতে পারে, আজ কিছুতে বুঝিতে পারিলাম না লীলানন্দ স্বামী তাহাকে কেমন করিয়া নাচাইয়া লইয়া বেড়ায় । এ দিকে, আমরা মুখ দেখাই কেমন করিয়া ? শত্রুর দল যে হাসিবে ! শত্রুও তে৷ এক-অাধ জন নয় । দলের লোক শচীশের উপর ভয়ংকর চটিয়া গেল । অনেকেই বলিল, তারা প্রথম হইতেই স্পষ্ট জানিত শচীশের মধ্যে বস্তু কিছুই নাই, কেবল ফাক ভাবুকতা। আমি যে শচীশকে কতখানি ভালোবাসি এবার তাহা বুঝিলাম। আমাদের দলকে সে যে এমন করিয়া মৃত্যুবাণ হানিল, তবু কিছুতে তার উপর রাগ করিতে পারিলাম না | ஆத