পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূরবী হে অশেষ, তোমার অঙ্গনে ভারমুক্ত তার সাথে ক্ষণে ক্ষণে খেলায়ে রঙের খেলা, বিচিত্ৰ করিয়া তোল তার শেষ বেলা । ক্লান্ত আমি তারি লাগি, অন্তর তৃষিত— কত দূরে আছে সেই খেলাভরা মুক্তির অমৃত । বধু যথা গোধূলিতে শেষ ঘট ভরে বেণুচ্ছায়াঘন পথে অন্ধকারে ফিরে যায় ঘরে, সেই মতো, হে সুন্দর, মোর অবসান তোমার মাধুরী হতে সুধাস্রোতে ভরে নিতে চায় তার দিনান্তের গান ৷ হে ভীষণ, তব স্পর্শঘাত অকস্মাৎ মোর গৃঢ় চিত্ত হতে কবে চরম বেদনা-উৎস মুক্ত করি। অগ্নিমহোৎসবে অপূর্ণের যত দুঃখ যত অসম্মান উচ্ছসিত রুদ্র হাস্যো করি দিবে শেষ দীপ্যমান । অ্যান্ডেস জাহাজ ২৯ অক্টোবর ১৯২৪ Equator পার হয়ে আজ দক্ষিণমেরুর মুখে দোসর দোসর আমার, দোসর ওগো, কোথা থেকে কোন শিশুকাল হতে আমায় গেলে ডেকে । সকল বাঁধন টুটিল আমার, একটি কেবল রইল বাকি— সেই তো তোমার ডাকার বঁাধন, অলখ ডোরে দিনে দিনে বঁাধল মোরে । দোসর ওগো, দোসর আমার, সে ডাক তব কত ভাষায় কয় যে কথা নব নব । চমকে উঠে। ছুটি যে তাই বাতায়নে, সকল কাজে বাধা পড়ে, বসে থাকি আপন-মনেপারের পাখি আকাশে ধায় উধাও গানে, চেয়ে থাকি তাহার পানে । Σ (ζ