পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/৭৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ԳO(; বিশ্বের হৃৎপিণ্ড সেই দ্বন্দ্ৰবেগে ব্যথিত স্পন্দিত, করে ধুকধুক | এই ভালো, এই মন্দ, এই দ্বন্দ্ব আঘাতে সংঘাতে নিক মোরে টেনে । আলো-আঁধারের দোলে পুনঃপুনঃ আশা-আশঙ্কাতে যাক মোরে হেনে । সেই তরঙ্গের উর্ধের্বদিক দেখা, হে রুদ্র নিষ্ঠুর, জ্যোতিঃশতদল তব স্থির দীপ্ত আসন বিষ্ণুর, অন্নান-মহিমা । সব দ্বন্দ্ৰ মগ্ন করে গন্ধ তার আনন্দের সুর নাহি তার সীমা । “মুক্তি", প্রথম স্তবক 'সেথা মাের চিরন্তন শেষ'-এর পর পথে যেতে যদি কভু সাথি বলে চিনি বিশ্বাপতি, (UTC (Koপ্রভু, যদি কভু তব প্রভুত্বের দাবি মোর প্রতি ছেড়ে দিতে চাও ! তা হলে আসুক সন্ধ্যা বিরামের মহাসিন্ধুতােট, শান্তিবারি পূর্ণ হােক গোধূলির স্বর্ণময় ঘটে শিশুর মতন তুমি এঁকে দাও আকাশের পটে আনমনে যাহা-তােহা ছবি । শিশুর মতন বসি একাসনে তোমা সনে কবি । “দুঃখসম্পদ", চিরদিন গােপনে বিরাজ্যের পর যখনি কুঁড়ির বক্ষ বিদীর্ণ করিয়া দেয় তাপে, তখনি তো জানি, ফুল চিরদিন ছিল তারি চাপে । দুঃখ চেয়ে আরো বড়ো না থাকিত কিছু | জীবনের প্রতিদিন হত মাথা নিচু, তবে জীবনের অবসান মৃত্যুর বিদ্যুপহাস্যে আনিত চরম অসম্মান। “কিশোর প্রেম", তৃতীয় স্তবক ‘অজানা কোন ভাষার পর তার পরে সেই তীরে বসে কত কঁাদন কঁদা । ওপার-পানে যাবার লাগি আঁধার রাতে ছিলাম জাগি, কে জানিত তটচ্ছায়ায় তরী ছিল বাধা, মিছে কত কঁাদন কঁদা । “আনমনা” ও “বদল” কবিতা দুইটির গীত-রূপ প্রথম সংস্করণ তৃতীয়-খণ্ড গীতবিতানে দ্রষ্টব্য। গান দুইটির প্রথম ছত্র যথাক্ৰমে “আনমনা, আনমনা” ও “তার হাতে ছিল হাসির ফুলের হার” ।