পাতা:রশিনারা.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ጫጭ রশিনারা । পরে কাদিতে কাদিতে কছিলেন, “রশিনার, আরাঞ্জেব তোমার প্রতি এত্ত নিদারুণ ব্যবহার কেন করিল ? আমি সৰ্ব্বদাই তোমাকে রোদন করিতে দেখি ; ইহার কারণ যদি প্রকাশ্য হয়, তবে বল, যদি আমার কোন সাধ্য থাকে, তবে আমি এ দুঃখ হইতে তোমাকে মুক্ত করিব।” রশিনার চক্ষুর জল মুছিয়া কছিলেন, পিতার দোষ কি, এ বিড়ম্বন আমার ললাট-লিপির ফল । ** সাজাহান ক্ষণকাল নীরবে থাকিয়। পরে অতি মৃদুস্বরে কহিলেন, “রশিনার, তুমিত ইতিপূৰ্ব্বে তোমার সুখ-দুঃখ যাহাই কেন ছুউক না, সকল বিষয়ই অকপটে আমার নিকট ব্যক্ত করিতে ! এক্ষণে দেখিতেছি, তোমার শরীরের আর সে হী নাই ! fচত্রবৈকল্য ন হইলে এরূপ কিসে হইল ? অারাঞ্জেবই লা কেন তোমার প্রতি নিষ্ঠ র হইল ? অামি তোমার পিতামহ, আমার নিকট তুমি সকল বিষয়ই ব্যক্ত করিতে পার। তবে বল না কেন ? হুঁ, বুঝিয়াছি, আমি তোমার পিতৃশবু, সেই জন্যই গোপন করিতেছ ; ভাল, তোমার পিতারই যেন শৰু হইয়াছি, তোমারত শত্ৰু নহি, তোমার মলিন মুখ দেখিয়া অামাৱ হৃদয় বিদীর্ণ হইতেছে । বঙ্গ বল, বিলম্ব করিও না । ” রশিনার বৃদ্ধের প্রতি স্থির দৃষ্টিতে চাহিয়া রছিলেন ; চক্ষুর পলক নাই। ক্ষণকাল পরে কাদিয়া কছিলেন, “ এ দক্ষু কলেবরে আর কেন লবণাক্ত বারি সিঞ্চন করেন । আপনি পিতার শজু, আমি কি তাহার সুহৃং ? তাহ হইলে এ অভাগীর এরূপ ভাগ্য হইবে কেন ? তিনি যদি আমাকে আপনার প্তশ্রুষায় পাঠাইতেন, তবে কি আমি তাছার কুশল