পাতা:রশিনারা.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগৃহে । దీ কামনায় পরমেশ্বরকে ডাকিতাম না ? তিনি আমার হৃৎপদ্মের ”—বলিতে বলিতে রশিনার কাদিয়া উঠিলেন । বাদশাহ উiহাকে কছিলেন, “ বল বল, দুঃখীর নিকট দুঃখের কথা কহিলে দুঃখের অনেক লাঘব হয়। ” রশিনার সজল-নয়নে অতি গদগদ বচনে কহিতে লাগিলেন, “ পিতামহ ! কি কহিব ? বোধ হয়, পূৰ্ব্বজন্মে আমি কোন প্রণয়-সুখ-বিশিষ্ট ললনাকে স্বামি-সুখ হইতে বঞ্চিত করিয়াছিলাম ; তাহ ন হইলে কেন অামি পিতার ক্রোধ, ভাঞ্জন হইব ? ** . সাজাহান রশিনার সম্বন্ধে কিছুই অবগত ছিলেন না ; এই জন্য তাহার সবিশেষ শুনিবার জন্য ব্যগু হইলেন । এবK আগ্রহ সহ কছিলেন, “ কোথায়ও কি উপযুক্ত বর পাইয়াছিলে ?” রশিনারা তখন আনুপূৰ্ব্বিক আত্ম-বৃত্তান্ত বলিতে লাগিলেন । র্তাহার জন্মোৎসব, পিতৃ-উদ্দেশে মাদুর গমন, পথে দুৰ্ঘটনা, শিবঞ্জীর দুর্গে বাস, উভয়ের অনুরাগ সঞ্চার, সেনানীর দুর্ব্যবহার, দ্বৈরথ যুদ্ধ, শিবঞ্জীর পীড়িত শয্য, দুর্গ জয়, প্রভৃতি সকল বিষয় বলিয়। পরে কছিলেন, “ আমার নিকট বিদায় লইয়। যে তিনি কোথায় গিয়াছেন, বলিতে পারি না । * রশিনার। আবার রোদন করিতে লাগিলেন । সাজাহানও রোদন করিতেছিলেন । ক্ষণকাল পরে দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কছিলেন, “ নিষ্ঠুর পুত্রের আচরণে যে এত হইয়া গিয়াছে, আমি ইহার কিছুই অবগত নাই ! অরিাঞ্জেব , ”—বৃদ্ধ আর কিছু বলিতে পারলেন না,— রোদন করিতে লাগিলেন । *