পাতা:রশিনারা.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কারাগৃহে । ృళ్మనీ এ সকল আমারই পাপের কল বলিতে হইবে ; আমি ইতিপূৰ্ব্বে যে সকল গুরুতর পাপকার্য্যের অনুষ্ঠান করিয়াছিলাম, তাহারই প্রত্যক্ষ ফল স্বরূপ এই নয়-রাক্ষস অামার ঔরসে জন্মিয়াছে ! যে মূৰ্ত্তিমান পাপ, তোমাদিগকে গ্রাস করিল, সে কেন আমাকেও স~হার করে না ?—হ প্ৰাণ ! তুমি আর কি সুখে এ দেহে রহিয়াছ ? প্রিয়তম পুত্ৰগণ যেখানে গিষাছে, তুমিওতথায় গমন কর, আর বিলম্ব করিও না । হে কৃতান্ত ! যখন যৌবন-প্রমত্ত হইয়া ভোগসুখে রত ছিলাম, তখনই যেন তোমাকে শত্ৰু বলিয়া অবজ্ঞা হইত, কিন্তু দেখ কৃতান্ত । এক্ষণে আমার তোমাকে বন্ধু বলিয়া, সম্ভাষণ করিবার সময়ও সমুপস্থিত হইয়াছে,—ইন্দ্রিয় বিকল, বলের হ্রাসত, শরীর জরাগুপ্ত ; অতএব বন্ধো ! অাইস, তোমাকে সুখে আলিঙ্গন কৱি ৷ ” শোকাকুল বাদশাহ এই বলিয়া অব্যক্ত স্বরে রোদন করিতে লাগিলেন । রশিনার বাদশাহকে নানাপ্রকার প্রবোধ দিতে লাগিলেন। কিন্তু তাহার মন কিছুতেই প্রবোধ মামিল না। পরে কাদিতে কাদিতে কছিলেন, “ যে পাপিষ্ঠ এত পাপের অনুষ্ঠান করিতেছে, তাহারত কিছুরই অভাব নাই ! * এই ৷ বলিয়া বৃদ্ধ নীরব হইলেন । ক্ষপকাল ভাবিয়া কছিলেন, ** আরাঞ্জেবের অপরাধ নাই ! আমিও আমার পিতার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করিয়াছিলাম ; পিতাও তাহার পিতার বিপক্ষতাচরণ করিয়াছিলেন । অতএব, আমাদের বংশ-পরম্পরাগতই এই রূপ হইয়া আসিতেছে ; তবে কেন আর অনুশোচনা করি ? ” এইরুপ কহিয়া বৃদ্ধ অপেক্ষাকৃত সুস্থির হইলেন।