পাতা:রশিনারা.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রশিনার জলভরাকীর্ণ নয়নে গদগদ স্বরে কছিলেন,“ আপনি কেন অার ভূতপূৰ্ব্ব বৃত্তান্ত স্মরণ করিয়া অনুতাপিত হন ? বিধির চক্র কে বুঝিবে ? নচেৎ আপনি কত শত লোকের ধনপ্রাণের কৰ্ত্ত হইয়া এরূপ পাতকীর ন্যায় বন্দী হইবেন কেন ? * সাজাহান চক্ষুর ভাল মুছিয়া কছিলেন, “ মনকে প্রবোধ দিবার কথাই এই । যাহা হউক, এক্ষণে ভূমি ধৈর্য্য ধর, যে রূপেই হউক, আমি শিবাজীর স^বাদ জানিয়া তোমাকে কহিব ; যদি বিধি বিমুখ না হন, তবে তোমার সকল প্রয়োজন সিদ্ধ হইবে | 22 উভয়েই নীরবে চিন্তু করিতে লাগিলেন। অনেক ক্ষণ পরে রশিনারা কছিলেন, “আপনি কিরূপে এ কার্য সম্পন্ন করি. বেন ? আপনার কি আর সে দিন আছে ? কে আপনার কথায় কর্ণপাত করিবে ? সকলই ত লক্ষ্মীর বরযাত্র ; আপনি হিন্দুস্থানের একমাত্র রাজা হইয়াও দুৰ্জ্জনের চক্রে এক্ষণে বন্দী হইয়াছেন ; বন্দীর কথা কে শুনিবে ? ” . রশিনারা যাহা কছিলেন, সাজাহানও তাঁহাই ভাবিতেছিলেন । পরে রোদন করিতে করিতে কহিলেন, “ হা প্রিয়পুত্র দারা : হা প্রিয়ভাজন সুজা ! হা প্রাণাধিক মোরাদ ! তোমরা কি ভাবিয়া এ হতভাগা পিতাকে স্মরণ করিতেছ না ! তোমাদের বিয়োগশোকে আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে। তোমাদের সুচরিত্রে ভারতভূমি শান্তিসুখে ভাসমান হইয়াছিলেন । আমি তোমাদের বিশ্বাস করিতাম বলিয়া পারিষদগণ আমার প্রতি বিরক্ত হইতেন । তোমরা অতি সচ্চরিত্র ছিলে, কিন্তু তোমা 嫁 দের ভুতি আরাaেব এমন পামর-প্রকৃতি হইল কেন ? হাঁ