পাতা:রশিনারা.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুসংবাদে ! ›ጫጫ সহিত প্রিয়-সম্ভাষণ করি নাই ! রে কঠিন মন ! কেন তুই ভবিষ্যৎ ভাবিয়া এত কঠিন হইয়াছিলি ? ধিক নারীর বুদ্ধি ! ধিক নারীর বৃথা জন্ম ৷ ” রশিনার যখন ভূতপূৰ্ব্ব বৃত্তান্ত পর্য্যালোচনা করিয়া অনুতাপিত হন, তখন সাহাজান তাহার নিকটে আসিয়া । নীরবে বসিয়াছিলেন । প্রবল চিন্তার অপ্রতিবিধেয় বেগপ্রভাবে রশিনারা তাহার কিছুই জানিতে পারেন নাই । অনেক ক্ষণ পরে বৃদ্ধ তাহাকে উঠাইতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন । প্রথমে তাহাকে ডাকিলেন, কিন্ড রশিনারা কোন উত্তর করিলেন না। পরে অঙ্গাচ্ছাদন উত্তোলন করিয়া দেখিলেন, রশিনার নয়ন মুদ্রিত করিয়া রহিয়াছেন, সেই মুদ্রিত নয়নদ্বয় হইতে অবিরল ধারা বিগলিত হইতেছে । সাজাহান তখন হস্তদ্ধারা রশিনারার অঙ্গ মাৰ্জ্জন করিক্তে করিতে কছিলেন, * রাশিনারা ! শুন, কোন কথা আছে, উঠ ৷ ” তখন তিনি নয়নোন্ম ক্র করিয়া বৃদ্ধের প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে তিনি দেখিলেন, রশিনারা যেন আত্ম-বিহ্বলার ন্যায় র্তাহার_প্রতি চাহিতেছেন । তখন তিনি কহিলেন, -

  • কি ভাবিভেচ্ছ ? ?? • . রশিনার নীরবে রছিলেন, কোন কথা কহিলেন না । সাজাহান পুনৰ্ব্বার কহিলেন, “ এরূপ দিবানিশি চিন্তা করিয়া কি উন্মত্ত্বা হইবে ? * , • *

রশিনার। তখন অতিমৃদু অসফট স্বরে কছিলেন, * আমার ন্যায় অভাগীদিগের তাছাই ভাল ৷ ” ইহা কহিয়া তিনি উঠিয়া বসিলেন । ©