পাতা:রশিনারা.pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুসংবাদে । ১৭৯ ৷ ইহা গুনিয়া রশিনারা ভাবিলেন, বুঝি তাহাকে প্রবোধ দিবার । জন্য সাজাহান এই সAবাদ দিতেছেন। অনন্তর দীর্ঘনিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া কছিলেন, “ এ দুঃখিনীকে কেন অার ছলন করিতেছেন ? আমি সকলই বুঝিতে পারি। এ বিষম যন্ত্রণা”— বলিতে বলিতে রশিনারা কাদিয়া উঠিলেন । ১ : সাজাহান কহিলেন, “ প্রবঞ্চনা করিতেছি না ; রশিনার, ভূমিত নির্বুদ্ধি নও, যে, তোমাকে যাহা বলিব তাহাতেই প্রবোধিত হইবে ? অামি স্বরূপই বলিতেছি, মহারাষ্ট্ররাজ শিবঞ্জী আসিয়াছেন। ” ইছ কহিয়া তাছার মুখের প্রতি চাহিয়া রছিলেন। সে প্রাভাতিক নক্ষত্ৰ পূৰ্ব্বভাব প্রাপ্ত হয় কি না, সে নিৰ্ব্বাণোন্ম খী প্রদীপ আবার প্রজবলিত হয় কি না, সে অনতিবিলুপ্ত সৌন্দর্য্যরাশি সেই ক্ষীণকলেবরে প্রকটিত হয় কি না, সে বিস্তষক পদ্মমুখে পূৰ্ব্বের ন্যায় হাস্য বিরাজ করে কি না, দেখিবার জন্য সাজাহান স্থিরনয়নে রশিনারায় প্রতি চাহিয়া রহিলেন । - রশিনারার চক্ষে দরদর করিয়া পুলকাঙ্ক বিগলিত হইতে লাগিল ; হর্ষে শরীর রোমাঞ্চিত হইল, আরক্ত অধর পল্লবে সন্তোষের লক্ষণ বিকসিত হইল, হৃদয়ের মধ্যে আশব্যস প্রদীপ্ত হইল। অকস্মাৎ বাতচলিত পাদপের ন্যায় সাজাহানের পদতলে পত্তিত হইয়া যুগল বাছবঙ্গী দ্বার iহার চরণ ধারণ করিয়া অতি ভক্তি-পূরিত বচনে কছি লেন, 、 & - - “ এ স্নেহের পুরস্কার আর আমি আপনাকে কি দিব যেমন আপনি আমাকে জীবন দান করিলেন, ‘ আমি