ఫిషి శి রশিনারা । বাদশাহ এইরূপ যখন মনে মনে পর্য্যালোচনা করিতেছেন, তাহার কিয়ৎক্ষণ পরেই নগরপাল কাদিতে কাদিতে উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া অাসিয়া একেবারে সিংহাসনের তলে পড়িল । তারাঞ্জেব তাহার ভাব দেখিয়াই বুঝিতে পারি - লেন, যে, তাহার মন্ত্রণ বিফল হইয়া গিয়াছে । তখন তিনি ক্ৰোধ-গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “ কি হইয়াছে ? ” নগরপাল সেই ভাবে থাকিয়াই কহিল, “ জাহাপনা ! দাসের অাজি আমোদ প্রমোদে রত ছিল, অTরাঞ্জেব তাহাকে আর বলিতে না দিয়া বলিলেন, * শিবাজী কি পলায়ন করিয়াছে ? ” ন। “ ধর্মাবতার,মহারাষ্ট্রপতি নিত্য নিত্য ঝুড়িপূর্ণ করিয়া আহারীয় দ্রব্য নগরে বিতরণ করিতেন ; আদ্য রশিনারার নিকট গোলাবীকে পাঠাইয়। পরে স্বয় তাহার একটা ঝুড়িতে উপবিষ্ট হন ; বাহক র্তাহাকে মস্তকে করিয়া বাহির হয় । প্রহরিগণ আহারীয় যাইতেছে, এই জ্ঞানে তৎপ্রতি কটাক্ষপাতও করে না । সুতরাং শিবজী নিৰ্ব্বিয়ে নিষ্কান্ত হইতে পারেন । আরাঞ্জেব তখন বদিশালার অধ্যক্ষ্যের হস্তে নগরপালকে সমর্পণ য়া সেনানীর প্রতি শিবঞ্জীর অনুসন্ধানের আজ্ঞা করিয়া o:
- যে রূপেই হউক, শিবাজীকে ধরা চাই । ব্যাঘুকে পিঞ্জরাবন্ধ করিয়া পুনৰ্ব্বার ছাড়িয়া দেওয়া বিপদের কারণ । ”
সেনাপতি সসৈন্যে শিবঞ্জীর অন্বেষণে প্রধাবিত হইলেন । বৃথা অম্বেষণ ! পলাতকের অনুসন্ধান পাওয়া সহজ ব্যাপার নহে ।
- -
