পাতা:রশিনারা.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২১৩ ] একাদশ পরিচ্ছেদ । বিজন-বনে । প্রভাকর অস্তমিত হইল । ক্রমে সন্ধ্যাতিমির গাঢ়তর হইয়া উঠিল । গোলাবী তখন লৌহময় সেতু অবলম্বন করিয়া মমুনা পার হইয় এক নিবিড় অরণ্য-মধ্যে প্রবেশ করিল । বনপথ গোলাবীর অপরিডরাত ; বিশেষ ঘোরান্ধকার মধ্যে কিছুই লক্ষ হয় না ; কেবল হস্ত দ্বার সম্মুখস্থ বৃক্ষলতাদি অনুমান করিয়া অতিসাবধানে ভগ্নাটালিকা অনুসন্ধান করিয়া বেড়াইতে লাগিল। এই রূপ অন্ধকারময় দুর্গম বন মধ্যে ভগ্নগৃহ কোন দিকে আছে, প্রহরান্ধ পর্য্যন্ত পর্য্যটন করিয়াও তাহার সন্ধান পাইল না। পরে অনেক ক্ষণ ভূমণ করিয়া একটি বৃক্ষশূন্য স্থানে উপস্থিত হইল ; তথায় অপেক্ষাকৃত পরিষ্ণকৃত নক্ষত্রের স্তিমিতালোকে দেখিতে পাইল, সম্মখে লতা-গুল্মবৃত একটি মন্দির রহিয়াছে ; তষ্মধ্য হইতে মৃদু মৃদু মনুষ্য-কণ্ঠবিনিগত অসপষ্ট সঙ্গীত-ধ্বনি রাহির হইতেছে । অনুভবে বুঝিতে পারিল, শিবজীই একাকী সেই বিজন স্থানে মৃদুস্বরে গান করিতেছেন । তখন জিজ্ঞাসা করিল,

  • মহারাজ কি এখানে আছেন ? ?? মন্দির মধ্য হইতে উত্তর হইল, “ গোলাবী না কি ? * গো । * আজ্ঞ স্থা । কোন পথে যাইব ? ” শি । * অপেক্ষ করা, আমিই যাইতেছি ।” এই বলিয়। শিবাজী গৃহের বাহির হইয়া গোলাবীর নিকট গেলেন ।

§