পাতা:রশিনারা.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.v- রশিনার | সেনাপতি প্রভাত পর্য্যন্ত অপেক্ষা করিয়াও রশিনারায় সাক্ষাৎ পাইলেন না । যখন চন্দ্রমা পাণ্ডুবর্ণে রঞ্জিত, উড়গণ হ্রস্বতেজা, দ্বিজকুলের সুমধুর কুঞ্জন, পূৰ্ব্ব দিকে উষার জ্যোতিঃ, জগৎস্মিগ্ধকর সুমন্দ বায়ু-স্রোতঃ বহমান ; তখন মাস্কাজী ভগ্নমনস্কাম হইয়া দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে করিতে ধীরে ধীরে গৃহাভিমুখে চলিলেন । আশা পরিত্যাগ করা সহজ কথা নহে, সেনানী এক পদ অগ্রসর হন, আবার পশ্চাৎ ফিরিয়া দেখেন । গৃহাভিমুখে আর পদ চলে না ; গভীর নৈরাশ্যের সহিত স্ত্রীলোকের প্রকৃতি পর্য্যালোচনা করিতে করিতে অতি ধীরে ধীরে চলিলেন । রশিনার সেনাপতির কথা এক কালে বিস্মত হইতেও পারেন নাই। শিবঞ্জীর নিকট সকল কথা প্রকাশ করিলে পর, তিনি যখন তাহার নিকট হইতে বিদায় লইলেন, তখন রশিনারা এক খানি পত্র লিখিয়া গোলাবীর নিকট রাখিয়াছিলেন । সেনানীর প্রত্যাগমনের কিঞ্চিৎপরে অন্তঃপুরের দ্বার উদঘাটন করিয়া গোলাবীবাহির হইল ; কিন্তু সঙ্কেত স্থানে তঁাহাকে দেখিতে না পাইয়া কিছু অগ্রসর হইল, তখন দেখিতে পাইল, এক জন মনুষ্য অতি মৃদুমৃদু পদবিক্ষেপে গমন করিতেছে। গোলাবী ভঁাহাকে চিনিতে পারিয়া একটু বড় করিয়া বলিয়া উঠিল, “ সেনাপতি মহাশয় | গমনে ক্ষান্ত হউন, ক্ষান্তু হউন ; নিবেদন আছে ৷ ” বামাম্বর শ্রবণ করিয়া সেনানী ফিরিয়া চাছিলেন, এবং স্ট্রীলোককে মাসিতে দেখিয়া ঈষৎ প্রসন্ন হইয়া অমনি পশ্চাৎ ফিরিয়া দণ্ডায়মান হইলেন। গোলাবী নিকটে উপস্থিত হইলে, তিনি