পাতা:রশিনারা.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বাস-প্রাপণে । y: বন্সিলেন, “ তুমি যে একাকিনী, তোমাদের তিনি কোথায় ? আমি তোমাদের জন্য খড়ককীর স্বারে প্রায় এক প্রহর পর্য্যন্ত বিলম্ব করিয়াছি, পরে কাহাকেও না দেখিয়া ফিরিয়া যাইতেছি । ” গোলাবী কছিল, “ তিনি আসিতে পারিলেন না, এই পত্র • খানি দিয়াছেন । প্রণমি হই, এখানে বিলম্ব করিলে অনিষ্টের সম্ভাবনা ৷ ” দাসী এই বলিয়া পত্র প্রদান করিল, এবং প্রত্যুত্তরের প্রতীক্ষা না করিয়া অতি দ্রুতগতিতে অঙ্কপুরাভিমুখে চলিয়া গেল । f যত ক্ষণ দাসী দৃষ্টিপথে ছিল, তত ক্ষণ সেনাপতি এক দৃষ্টিতে তাহার দিকে চাহিয়া রছিলেন । গোলাবী অদৃশ্য হইলে তিনি অতি বিমৰ্ষভাবে গৃহে আসিয়া উপস্থিত হইলেন । অনেক ক্ষণ অভিভূতের ন্যায় থাকিয়া পরে রশিনারীর পত্ৰ পাঠ করিতে আরম্ভ করিলেন । . “ আমি তোমাকে কি বলিয়া যে সম্বোধন করিব, তাহ ভাবিয়াই হতজ্ঞান হইয়াছি । আর সম্বোধনের কথাই বা কি আছে ? গত কল্য আমাদের যথাশস্ত্রি বিবাহ হইয়া গিয়াছে ; অতএব তুমিই আমার প্রাণেশ্বর । এহ্মণে প্ৰাণেশ্বর বলিয়া সম্বোধন করাই কর্তব্য । প্ৰাণেশ্বর ! ৰূল্য প্রদোষ সময় কি শুভক্ষণেই তোমার সহিত সাক্ষাৎ হইয়াছিল, সেই অবধি তোমায় মনেীমোহন রূপ ও বিমল গুণের কথা এক পলের জন্যও তুলিতে পারি মাই। আমি এখানে যেরূপে বন্দিনী হইয়া রহিয়াছি, তাহা তোমার অবিদিত নাই ; আমি কেমন করিয়া এ দুর্গপিঞ্জর ভগ্ন করিয়া তোমার সহিত মিলিত হইব, এই চিন্তা করিয়া সমুদায়