পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२घ्न श्रृं: ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধন । ১২৫ পার্থিব দেহ পরিত্যাগ করিয়া জীবাত্মা যে প্রকারে এবং যেখানে যায় বলেন, তাহা বোধ হয়, তুমি অবগত আছ ? শিষ্য। হা, তাহাও শুনিয়াছি। গুরু । কি, বল দেখি ? - শিষ্য। খ্ৰীষ্টিয়ান ও মুসলমানগণ বলেন,—স্বর্গে বসিয়া }শ্বর পাপ ও পুণ্যের বিচার করিয়া দোষীর দগু ও পুণাত্মার পুরস্কার বিধান করেন। দোষী যে দণ্ড প্রাপ্ত হয়, সেই দণ্ডে সে অনন্তকাল নরকে যায়, আর পুণ্যকারীর পুণ্যের পুরস্কারের যে বিধান করেন, তাহার ফলে পুণ্যাত্মা অনন্তকালের জন্ত স্বর্গে যায়। গুরু। কিন্তু এ মত ভাল নহে। ইহাতে ঈশ্বরকে কেবল যে নিষ্ঠুর বলা হয়, তাহ নহে, তাহাকে ঘোরতর অবিচারক বলা হয়। ইয়োরোপের বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ও লেখকগণ এখন বুঝিতে পারিতেছেন যে, ঈশ্বর যে হাকিমের মত আদালতে বসিয়া ডিক্ৰী ডিসমিস করেন, তদপেক্ষ হিন্দুর কার্য্যকারণ সম্বন্ধে নিবদ্ধ জীবাদৃষ্ট অধিকতর বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব। বিখ্যাত লেখক টেলরসাহেব তাহার পুস্তকে লিখিয়াছেন,— “The Buddist Theory of “Karma” or “Action." which Controls the destiny of all sentient beings, not by Indicial rewards and punishment, but by the present is ever determined by the past in an