পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাৎসল্যপ্রেম। ৩য় অঃ 58יא ாம்_ বিনষ্ট করিয়া তালবনকে মথিত ও পরিপক্ক তালফলে সমন্বিত করেন ? অধিকন্তু ইনি বলশালী বলদেবের সহিত মিলিত হইয়া কি প্রকারে প্রলম্বাসুরের নিপাত পূৰ্ব্বক ব্ৰজবাসী পশু ও গোপদিগকে পরিত্রাণ করেন ? আবার ইনি কিরূপে অতিক্রুর ভূজগেন্দ্র কালিয়ের দমন পূৰ্ব্বক বলে তাহাকে নিৰ্ম্মদ ও নিৰ্ব্বাসিত . করিয়া যমুনার জল নিৰ্ব্বিষ করেন ? আর হে নন্দ ! তোমার এই তনয়ের প্রতি আমাদের সমুদয় ব্ৰজবাসীর দুস্ত্যজ অনুরাগ এবং ইহারও আমাদের প্রতি স্বাভাবিক স্নেহ কেন হইয়াছে ? ইনি তো সকলের আত্মা নহেন ! হে ব্ৰজনাথ! সপ্তবর্ষ বয়স্ক বালক কোথায় আর প্রকাও পৰ্ব্বত ধারণ করিয়াছে ? তোমার আত্মজের কৰ্ম্ম সকল অত্যন্ত অদ্ভূত ও অলৌকিক, তৰ্জ্জন্তই আমাদের আশঙ্কা জন্মিতেছে। নন্দ কহিলেন,—“গোপগণ ! আমার বাক্য শুন, এই বালকের প্রতি তোমাদের ভয় অপগত হউক। এই কুমারটর উদেশে গৰ্গমুনি আমাকে এইরূপ বলিয়াছিলেন,—এই বালক প্রতি যুগে শরীর গ্রহণ করিয়া থাকেন, তাহাতে ইহার শুক্ল, রক্ত ও পীত এই তিন প্রকার বর্ণ হইয়া গিয়াছে, ইদানী কৃষ্ণত্ব প্রাপ্ত হইয়াছেন। পূৰ্ব্বে কোন সময়ে ইনি বসুদেবের গৃহে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন, সেই হেতু অনভিজ্ঞ জনগণ এখনও ইহাকে বাস্থদেব বলিয়া থাকেন। তোমার পুত্রের গুণ ও কৰ্ম্মের অনুরূপ বহু বহু \