পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రశి কৰ্ম্মবীজ । [ ১ম অঃ প্ৰহলাদে তাহার পিতৃ শরীরের প্রত্যক্ষানুভূতি সংক্রমিত হইলে কখনই হরিনাম শূন্ত দৈত্যপুরিতে হরিপ্রেমের সঞ্চরণ হইত না,—ষীশুখ্রীষ্টের হৃদয়ে নবধৰ্ম্মের বিমলজ্যোতি বিকীর্ণ হইত না, তোমাদের পাশ্চাত্য বৈজ্ঞানিক অধ্যাত্মবিজ্ঞান-তত্বে এখনও নূতন প্রবেশক মাত্র, তাহারা এখনও ইহার প্রথমস্তরে বিচরণশীল,—কিন্তু র্তাহারা যে বিচার, বিতর্ক ও সিদ্ধান্ত করিতেছেন, তাহা ভুল, প্রমাদপূর্ণ নহে, তাহা প্রথমস্তরের জীবের সমুদায় জ্ঞান, তাহাদিগকে প্রত্যক্ষ বিচার-জনিত জ্ঞান বা সহজাত জ্ঞান বলি, তাহার সমুদয়ই পূৰ্ব্ব জীবনের অনুভূতির ফলস্বরূপ, তাহা এক্ষণে অবনতি ভাবাপন্ন হইয়া সহজাত জ্ঞানরূপে পুনরুদ্ভূত হইতে থাকে। সমুদয় জগতের ভিতরেই এই ব্যাপার চলিতেছে, ইহাকেই পুনর্জন্ম-বাদ বলে, যাহা সহজাতজ্ঞান (instinct) তাহ পূৰ্ব্ব পূৰ্ব্ব জন্মের কৃতকৰ্ম্মে । ফলস্বরূপে যে গুণ প্রাপ্ত হয়,—সেই গুণেরই ক্রিয়া । এই যে গুণ, ইহাই জাত্যুক্ত ধৰ্ম্ম । যাহার যে গুণ, তাহার পূর্ণ ক্রিয়া, তাহার পক্ষে মুখ। হংস শাবকের জলে ভাসিয়া বেড়াইতে পারিলে মুখ বা আনন্দ হয়, কিন্তু তাহাকে স্থলে রাখিলে তাহার আনন্দ হয় না, জলে ভাসিয়াই তাহার গুণের ক্ষয় করিতে হয়, সেই সুখের অনুভূতি লইয়া তাহাকে জীবন পরিত্যাগ করিতে হয়, আবার সেই গুণের অভিব্যক্তি লইয়া তাহার কিছু উন্নতি বা