পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৫০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ পঃ ] রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা ৷ 8ఏt আঁধারে-আলোকে সমান দৃষ্টিশক্তি থাকে,-তুমি কি জান- না, স্বরথ! ময়ূন্যগণ না হয়, প্রত্যুপকারের আশায় বৃদ্ধকালের অবলম্বন জন্য পুত্রকে লালন পালন করে, কিন্তু পশু । পক্ষী প্রভৃতির সন্তান বৎসরে বৎসরেই জন্মিয় থাকে-বৎসরে বৎসরেই তাহারা জনক জননীর সহিত সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন করিয়া কে কোথায় চলিয়া যায়,— বৎসরে বৎসরে পশু-পক্ষীগণ তাহ প্রত্যক্ষ করিয়া থাকে,-কিন্তু তথাপি নবজাত সন্তানকে নিজে ক্ষুধায় পীড়িত হইয়াও কণাদি কুড়াইয়া আনিয়া প্রতিপালন করে। কেন জান, মহারাজ ! এ সকল কি তুমি প্রত্যক্ষ কর নাই ? কোন উপকারের সম্ভাবনা নাই—কোন লাভের প্রত্যাশা নাই,—তথাপি কেন, কেন এই আত্মদান ? কেন হয় জান না রাজন ? . * - " - .. তথাপি মমতাবৰ্ত্তে মোহগৰ্ত্তে নিপাতিতাঃ । মহামায়া-প্রভাবেণ সংসারস্থিতি কারিণঃ ॥ তন্নাত্র বিস্ময়ঃ কার্য্যো যোগনিদ্র জগৎপতেঃ। মহামায়া হরেশ্চৈতত্তয়া সংমোহতে জগৎ । জ্ঞানিনামপি চেতাংসি দেবী ভগবতী হি সী। বলtঙ্গীকৃষ্য মোহয় মহামায়া প্রযচ্ছতি ॥ মার্কণ্ডেয় চণ্ডী । কেন হয়,-কেন পশু-পক্ষী-মানুষ প্রভৃতি ভূতচরাচর ঐ মোহের আকর্ষণে আকৃষ্ট ? কেন জীব আপন ভুলিয়া পরের জন্ত প্রাণ দেয়। মহামায়া প্রভাবে সংসারের স্থিতি