পাতা:রসতত্ত্ব ও শক্তি-সাধনা - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

១៥ et রসতত্ব ও শক্তি-সাধন । 《: জ্ঞানশূন্ত বিশুদ্ধা ভক্তিতে ভগবান বশীভূত, কিন্তু প্রেমের সুবাসে সুবাসিত ভক্তিতে তিনি আরও আপনার হয়েন,—আরও নিকটে আসেন। কিন্তু চৈতন্যদেব তৃপ্ত হইলেন না। ইহাও শ্ৰীকৃষ্ণ সংস্থাপিত ধৰ্ম্ম নহে। তাই— “প্ৰভু কহে এহ হয় আগে কহ আর।” ইহাও সাধ্য বটে, কিন্তু আরও অগ্রসর হইয়া বল। “রায় কহে দান্ত প্রেম সৰ্ব্ব সাধ্য সার।” প্রেমপুর্ণ হৃদয়ে দাসের স্তায় সেবা করিলে, ভগবানের বড় প্রতি হয়। কিন্তু ইহাও সেই পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত ধৰ্ম্ম নহে। অনেক দিন ইহা প্রচারিত ছিল, তাই বলিলেন,— “প্ৰভু কহে এহ হয় কিছু আগে আর।” প্রভু বলিলেন, ইহাও হয়। কিন্তু আরও কিছু অগ্রসর श्रुझे प्रों दळ । “রায় কহে সখ্য প্রেম সৰ্ব্ব সাধ্য সার ॥” প্রেমের বহু ভাব—অনন্তরূপ- সখ্যপ্রেমের ক্ষীর-ধারায় ভগবান পরিতৃপ্তি লাভ করিয়া আনন্দিত ও প্রীত হয়েন। ব্রজের রাখাল বালকগণ সখ্যপ্রেমে ভগবানকে বশীভূত করিয়াছিল। গোকুলের গোষ্ঠভূমে বনফুলের মালায় শ্ৰীকৃষ্ণকে পরিশোভিত করিয়া, নবপল্লবে ব্যজন করিয়া স্বধী হইত। তাহাদের জ্ঞান নাই যে, শ্ৰীকৃষ্ণ ব্ৰহ্ম— কিন্তু প্রাণের প্রেম-সখিত্ব শ্ৰীকৃষ্ণে অপিত। কৃষ্ণমুখ না দেখিলে, তাহাদের সমস্ত ব্রজভূমি অন্ধকার জ্ঞান হয়।