পাতা:রসায়ন সূত্র.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ R ] * ৯।-ভূবায়ুর মধ্যে কি ২ পদার্থ আছে। ৬ পরীক্ষা।—এই বোতলটর তলদেশ ভগ্ন, এবং মুখ ছিপি দিয়া বদ্ধ। ইহা এই জলপাত্রে রীথিয়া ইছার মধ্যে প্রফ রক দান করিতে ছষ্টবে। কিন্তু প্রথমতঃ জলপাত্রের উপর ষে ক্ষুদ্র চীনের বাসন ভাসমান আছে, তাহার মধ্যে এক খণ্ড পরিশুষ্ক প্রস্ফ,রক রাথিয়া দীপশলাকার দ্বারা প্রজ্বলিত করা আবশ্যক । * প্রস্ফারক লইয়া পরীক্ষা করার সময়ে সাবধান হওয়া উচিত, কারণ ইহা অস্পেতেই জ্বলিয় উঠে এবং সে সময়ে অঙ্গুলির অভ্যন্তরে থাকিলে ভয়ানক দাহনক্ষত উৎপন্ন করে। এই রূপে প্রস্ফারকথগুটী প্র জ্বলিত ও বোতল দিয়া আবৃত করিলে, বোতলের অভ্যন্তরে জ্বলন্ত প্রফরকের উজ্জ্বল শিখা লক্ষিত হয় ; কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই, ও সমস্ত প্রস্ফারক দগ্ধ হইবার পূর্বেই অগ্নিশিখা নিবিয়া যায। প্রদ্ধরকদাহনকালে বোতলের মধ্যে যে শ্বেত ধূমটা উৎপন্ন ছয় দেখিয়াছিলে, বোতল শীতল হইলে পর, তাছাও ক্রমশঃ অন্তৰ্হিত ছইল, এবং এখন কেবল বোতল-মধ্যে কিয়ং পরিমাণ বায়ু অবশিষ্ট রছিল। কিন্তু পূৰ্ব্বাপেক্ষা বায়ুর পরিমাণ অনেক হ্রাস হুইয়াছে লক্ষিত হইবে। কারণ প্রথমতঃ বোতলট বায়ুতে পরিপূর্ণ ছিল, কিন্তু এখন নিম্নভাগের অনেক দূর জল উখিত হইয়াছে। অতএব পরীক্ষা করিয়া দেখা আবশ্যক প্রফ ব্লকদানের পর, বোতলস্থ বায়ুর কোনরূপ পরিবর্তন হইয়াছে কি না। এই জন্যে বোতলের ছিপি খুলিয়া, উছার মধ্যে একটা জ্বলন্ত বাতি প্রবিষ্ট করিয়া দাও। দেখ প্রবেশ-মাত্রেই বাতি নিবিয়া গেল। বোতলের মধ্যে পুনৰ্ব্বার জ্বলন্ত বাতি নিবেশিত করিলে, উছা পুনৰ্ব্বার নির্বাণ হইয়া যায়। এতদ্বারা প্রতিপন্ন হইতেছে যে, প্রস্কারক দাহন করিবার পূৰ্ব্বে বেল্পলৈ যে রূপ বায়ু ছিল, এখন আর উদ্ধাতে সে রূপ বাৰু নাই। অতএব এই কুঠরীর মধ্যে বস্তুতঃ দুই প্রকার বায়ু বর্তমান। তন্মধ্যে বাতির দক্ষনসহায় বায়ুটীর নাম “ অমঙ্গীন "। অম্লজান প্রস্কারকসংযোগে পুৰ্ব্বদৃষ্ট শ্বেত ধূম উৎপন্ন করে। উৎপন্ন ধূম জলে জৰীভূত