পাতা:রসায়ন সূত্র.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ So J হওয়ায় বোতলের কিয়দংশে জল উত্থিত হয়। কুঠরীশ্ব অপর বায়ুর্টর নাম " যবক্ষারজান " [Nitrogen)। প্রস্ক রক-দাহন-পরে এই বায়ুটী বোতলে অবশিষ্ট থ্রাকে ; ইহার মধ্যে নিমজ্জিত ३३टन জ্বলন্ত বাতি নিবিয়া যায়। অতএব ইহা অম্লজান হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকার পদার্থ। এইরূপে একটা সহজ পরীক্ষাতে প্রতীয়মান হইল যে, এই কুঠরীতে ও বোতলের মধ্যে শুদ্ধ যে ভূবায়ু নামে একটা পদার্থ আছে এরূপ নছে, অপিচ অম্লজান ও যবক্ষারজান নামে দুইট ভিন্ন প্রকার অদৃশ্য বায়ু এস্থলে বর্তমান। বাতাস—$ ৪ । ১০।—নিশ্বাস লইবার সময়ে, কি রূপ পরিবর্তন ঘটে ? আমরা এখন জানিতে পারিয়াছি, যে যখন বাতি অথবা অন্য কোন পদার্থ छूबांबूब भ८षा मफ इङ्ग, उथम मशभनि পদার্থের উপাদানগুলির সহিত ভূবায়ুস্থ “ অস্ত্রজ্ঞানের " রাসায়নিক-সংযোগ সংঘটিত হয়। দহমান মোমের বাতি আঙ্গারিকাম ও জলীয় বাষ্প উৎপন্ন করে, কারণ মোমের অঙ্গার cেarbon] ও জলজান [Hydrogen ], ভূপ্রাযুস্থ অল্পজানের সহিত সংযুক্ত হয়। কিন্তু বাতি দাঙ্গন করিতে হইলে প্রথমতঃ উছ একবার জ্বলিয়া দেওয়া আবশ্যক, অর্থাৎ তাপদিয়া এই সংযোগfক্রয় একবার আরম্ভ করিয়া দেওয়া অবশ্যক। কিন্তু একবার আরম্ভ করিয়া দিলে, সংযোগ-কালে যে তাপ নিৰ্গত হয়, তাহাতেই তখন ঐ ক্রিয়া সম্পন্ন হইতে পারে। বাতির অগ্নিশিখা যে উত্তপ্ত, তাছার কারণ বাতির সায়ীভবন [Oxidation], অর্থাৎ তাম্লজানের সহিত বাতির রাসায়নিক সংযোগ। যখন বাতির মধ্যে ফু দেওয়া যায়, অগ্নিশিখ শীতল হওয়ায় মোমের সহিত অম্লজান-সংযোগ অসম্ভব হইয় উঠে, এবং সেই জন্যে বাতি নিবিয়া যায়। অম্লজান, বাতিদীছন জন্যেও যেরূপ, প্রাণীগণের জীবনধারণ পক্ষেও সেইরূপ, নিতান্ত প্রয়োজনীয়। সকলেই জানেন যে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ ও নবীন বাতাস সেবন করিতে না পাইলে শ্বাসরোধ হইয়া প্রাণত্যাগ হয়। জনপূর্ণ বদ্ধকুঠরী, পাথরিয়া কয়লার গনি, এবং কূপ প্রভৃতি যে সকল স্থানে অবিশুদ্ধবায়ু সঞ্চিত হয়, তথায় শ্বাসরোধ হইয়া প্রাণত্যাগের অনেকগুলি লোমহর্ষণকর বিবরণ শ্রুত হওয়া যায়। Ł- t এখন জিজ্ঞাসা, নিশ্বাস লইবার সময় কিরূপ পরিবর্তন ঘটে? প্রাণীগণ কি জ্বলন্ত বাড়ি ও প্রস্ক রকের ন্যায় ভূস্বায়ুতে কোন রূপ রাসায়নিক পরিবর্তন উৎপাদন করে? একট পরীক্ষা করিলেই এ কথার সন্ধুত্তর পাওয়া যাইবে ।