পাতা:রসায়ন সূত্র.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১২ } ঙ্গারের ন্যায় শরীরস্থ অঙ্গারও অম্লজানসংযোগে আঙ্গারিকাস্নায়ু উৎপন্ন করে, এবং এই দুইম্বলেই সমান পরিমাণ দাহন হইলে সমান পরিমাণ উত্তাপ নির্গত হয়, বাতি জ্বালাইয়া বিশুদ্ধ আঙ্গরিকল্পে একটা বোতল পূর্ণ করিবার সময় যে পরিমাণ উত্তাপ নির্গত হয়, ফুসফুসী-নিঃসৃত আঙ্গারিকায়ে সেই আয়তনের আর একটী বোতল পূর্ণ করিবার সময়েও, শরীরস্থ জীবাঙ্গার দন্ধ হইয়া ঠিক সেই পরিমাণের উত্তাপ উৎপন্ন হয়। জীবশরীরে জ্বলন্ত বাতির ন্যায় অগ্নিশিখা দুষ্ট হয় না, তাহার কারণ, দক্ষিনেীভূত উত্তাপ সমস্ত শরীরে ব্যাপিয় পড়ে। বাতির পলিতার মত অম্পায়তন স্থানে যদি শরীরাভ্যস্তরিক সাক্ষ্মীভবনক্রিয়া [Oxidation] সম্পন্ন হইত, তাছা হইলে আমরা অগ্নিশিখা দেখিতে পাইতাম ; কিন্তু রক্ত সঞ্চালনের দ্বারার শরীরের সকল অংশেই উত্তাপ নীত হওয়ার, কোন অংশই বড় অধিক পরিমাণে উত্তপ্ত হইতে পারে না। এই রূপে আর একটা সহজ পরীক্ষায় শিক্ষা ছইল যে (১) প্রাণীগণ শ্বাস লইবার সময়ে ফুসফুসীতে ভূপ্রায়ুস্থ অস্লঙ্গান গ্রহণ করে। (২) গৃহীত অম্লজান তথায় রক্তের মধ্যে প্রবেশ করে । (৩) এবং সেখানে শরীরস্থ অব্যৱহৃত অঙ্গার দগ্ধ করিয়া আঙ্গারিকায় বায়ুর ও “ শারীর তাপের ” [Animal Heat] উৎপাদন করে। বাতাস ৪ ৫ । ১১। এখন উদ্ভিদগণ ভূবায়ুর উপর কিরূপ কাৰ্য্য করে, তাহ নির্ণয় করা যাউক । এই জন্যে আবার আমাদিগকে পরীক্ষা করিতে হইবে, কিন্তু এ পরীক্ষাটা এক দিনে সমাপ্ত হইবে না। ৮ পরীক্ষা।—এক খান পাত্রে কিঞ্চৎ জল রাখিয় তাহার মধ্যে একটুকুর। ফুনেল ডিজাইয়। রাখিলে, এবং কুনেলের উপর কতক গুলি রাইসর্ষপের বীজ ছড়াইয়া দিলে, বীজগুলি শীঘ্রই অঙ্কুরিত হইতে আরম্ভ করিবে, এবং সূর্য্যের আলোক পাইলে, বৰ্দ্ধিত হইতে থাকিবে । এইরূপে কিছুদিন পরেই কিয়ং পরিমাণে রাইসর্ষপের শস্য সঞ্চয় হইতে পরিবে। এখন জিজ্ঞাস্য, যে সংবর্ধমান উদ্ভিদগুলি কোথা হইতে তাম্বাদের দণ্ড ও পত্র নির্মাণের উপযোগী উপকরণ প্রাপ্ত হইল। নিশ্চয়ই ফুনেল হইতে নহে, কারণ ফুলেল অপরিবর্তিত থাকে ; কেবল বীজ হইতেও নহে, কারণ উৎপন্ন উদ্ভিদ গুলি বীজ হইতে