[ $8 J পাত্রের মধ্যে অধোমুখে রাখিয়া দিলে, এবং ঘণ্টাছুই পরে পাতাগুলি বেস করিয়া পরীক্ষা করিলে, দেখা যায়, যে পাতাগুলি ক্ষুদ্র ২ বায়ুবিম্বের দ্বারা আবৃত হইয়াছে এবং বোতলের উপরিভাগে বায়ুবিম্ব অধিকতর পরিমাণে সঞ্চিত হইয়াছে। এই বায়ুবিন্ধগুলি বিশুদ্ধ অম্লজান'। ইহা উংসজলস্থ দ্রবীভূত আঙ্গারিকায় হইতে উৎপন্ন। অতএব “উদ্ভিদগণ সূৰ্য্যরশ্মিতে ভুবায়ুস্থ আঙ্গারিকায় বায়ু বিশ্লিষ্ট করিয়া পত্র দণ্ড প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণের জন্যে তাঙ্গার অঙ্গারভাগ গ্রহণ করিতে, এবং তাছার অম্লজানভাগ পৃথক্ অবস্থায় নির্গত করিতে, সমর্থ হয়।” ১১ পরীক্ষা।—অনেকের জানা আছে, যে সবুজবর্ণ উদ্ভিদগণ অন্ধকারে সংবৰ্দ্ধিত হয় না । শেষোক্ত পরীক্ষা পুনৰ্ব্বার করিয়া দেখিলেই, ইছার কারণ কি বুঝিতে পরিবে। কিন্তু এবারে বোতল সূৰ্য্যরশ্মিতে না রাখিয়া, অন্ধকারের মধ্যে রাখিতে হুইবে, তাছা হইলে অনেকক্ষণ পরেও অম্লজানবিশ্বের উৎপত্তি লক্ষিত হইবে না। অতএব প্রতীয়মান হইতেছে যে সবুজবর্ণ উদ্ভিদৃগণ, সূৰ্য্যরশ্মি ন৷ পাইলে, আঙ্গারিকায়-বিশ্লেষণে সমর্থ হয় না। সেই নিমিত্ত উদ্ভিদৃগণের বর্জন জন্যে সূৰ্য্যরশ্মি নিতান্ত প্রয়োজনীয়। ১৩ -জন্তগণের ও উদ্ভিদৃগণের ভূবায়ুর উপর ক্রিয়া। এখন জন্তুগণ ও উদ্ভিদগণ ভূবায়ুতে কিপ্রকার ভিন্ন ২ পরিবর্তন উৎপন্ন করে, পর্যালোচনা করিয়া দেখ। পূর্বেই শিক্ষা করা গিয়াছে যে এই উভয় শ্রেণীর প্রানীই [Beings) ভূপায়ুতে অনবরত রাসায়নিক পরিবর্তন সংঘটিত করিতেছে, অতএব রসায়ন-শাস্ত্রে যে শুদ্ধ অচেতন পদার্থের রাসায়নিক পরিবর্তন আলোচিত ছয় এরূপ নহে, ইঙ্গীতে পৃথিবীস্থ জন্তু ও উদ্ভিদমাত্রেরই জীবনরক্ষার পক্ষে যে সকল রাসায়নিক পরিবর্তন আবশ্যক তৎসম্বন্ধেও শিক্ষা প্রদান করে। পূৰ্ব্বে শিক্ষা করা গিয়াছে যে— “জন্তুগণ" শ্বাসলইবার সময় অম্লজান গ্রহণ করে, ও নিশ্বাস ফেলিবার সময় আঙ্গারিকায় বায়ু নিৰ্গত করে এবং ক্রমাগত দাহন হইতেছে ও উত্তাপ উৎপন্ন করিতেছে।
- যদি অম্লজান বায়ু প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন ছয়, তাছা হইলে বাযুট বোতল হইতে পরীক্ষা-নলে লইয়া, জুগুলাল কাষ্টখণ্ডের পুনঃপ্রজ্বালন-দ্বারা উহার অস্তিত্ব প্রতিপাদন করা যায়।
"ি উৎসজনে চুর্ণজলসংযোগে চাখড়ির ন্যায় দুগ্ধবর্ণ উৎপন্ন হওয়ার, তন্মধ্যে আঙ্গারিক অমের অস্তিত্ব প্রতীয়মান হয়।
