[ $6 J “উদ্ভিদগণ" আবার, আঙ্গারিকায় বায়ু গ্রহণকরে, ও অস্ত্রজ্ঞান বায়ু নিৰ্গত এবং সূর্য্যের আলোক ও তাপ গ্রহণ করিতেছে (কারণ সূর্যরশ্মি না পাইলে, তাহার বাচিতে পারে না), ও ক্রমাগত দাহনোপযোগী পদার্থ উৎপন্ন ৰুরিতেছে। অতএব দেখিতেছ, জস্তুগণের ক্রিয়া হইতে উস্তিদৃগণের ক্রিয়া সম্পূর্ণ বিপরীত। জন্তুগণ অনবরত নিশ্বাসসহকারে আঙ্গারিকায় নির্গত করায়, বাতাস “ অবিশুদ্ধ" হয় ; উদ্ভিদগণ আবার পত্রদ্বারায় অঙ্গিারিকাস্লবায়ু গ্রহণ করিয়া ও অম্লজানবায়ু নিৰ্গত করিয়া ভূদায়ুকে বিশোধিত করিতে চেষ্টা পাইতেছে। জন্তু ও উদ্ভিদ জীবনের এই ক্রিয়াসামঞ্জস্য জলাধার [Vivaria] যন্ত্রের দ্বারা স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান করা যায়। এই বর্তুলাকার যন্ত্রের মধ্যে বাতাস প্রবেশ করিতে পায় না, কিন্তু ইহা জলে পরিপূর্ণ। ইহার মধ্যে কতকগুলি ক্ষুদ্র ২ জলীয় উদ্ভিদ ও জলীয় কীট রাখিয়া দিলে, এই দুই প্রকার পদার্থই বৰ্দ্ধিত হইতেছে দেখা যায়। কারণ জন্তুগণ যে আঙ্গারিকান্নবায়ু নিৰ্গত করে, উদ্ভিদৃগণ তাছার অঙ্গারভাগ পৃথগভূত করিয়া দেয়, এবং এইরূপে, তাছাদের সংবৰ্দ্ধনজন্যে যে পরিমাণে অঙ্গারের প্রয়োজন ঠিক সেই পরিমাণের অঙ্গার প্রাপ্ত হয়। আবার সেই সময়ে অঙ্গিারিকায়ে অঙ্গারসংযুক্ত যে অমুজান থাকে, তাছাও নির্গত হইয়া জন্তুদিগের শ্বাসক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। জল S ৬ । ১৪ -জল কি ২ উপাদানে নিৰ্ম্মিত ? যদি এক খান কাচের পাত্রে এক খণ্ড বরফ রাখিয়া তাহাতে তাপ দেওয়া যায়, “কঠিন" [solid] বরফখণ্ড গলিয়া “ তরল" জলে পরিণত হয়। আর কিরৎকাল ঐ জলে তাপ দিলে, জল “ফুটিতে " আরম্ভ করে ও “বাস্পীকার" ধারণ করে। ঐ বাষ্প আবার শীতল করিলে জল উৎপন্ন হয়। বাপ তাদৃশ্য বায়ু, এবং ইহার গুণ জলের গুণ হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন প্রকার। যদি জল উত্তপ্ত না করিয়া কিঞ্চিং অন্ত্রাক্ত করিয়া তাঁহার মধ্যে গ্রেভিনিৰ্ম্মিত তাড়িত প্রবাহজনক যন্ত্রের চরিট কক্ষ [colle] ছইতে "তাড়িত-প্রবাছ" প্রেরণ করা যায়, তাছা হইলে জল হইতে বাপের পরিবর্তে অন্য দুই প্রকার পদার্থ পাওয়া যাইবে। ঐ দুইটা পদাের্থ জলের উপাদান, অর্থাৎ উছাদের রাসায়নিক-সংযোগে জলের উৎপত্তি হইয়াছে। † ১২ পৰীক্ষা -নিম্নে ছিপিবদ্ধ একটা গ্লাস ফনেল [Glass unnel] লও। ফনেলের অধিকাংশ অমাক্ত জলে পূর্ণ কর, এবং নিম্নস্থ ছিপির ভিতর দিয়!
