পাতা:রসায়ন সূত্র.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১ ] ১৮ পরীক্ষা।--জলজান উৎপাদক কুপীতে যে বক্র নল নিবিষ্ট হইয়াছিল, বেগে বায়ু-নিঃসারণার্থ, তাছার স্থানে একটা সূচ্যগ্র ঋজু-নল নিবিষ্ট করিয়া দেও ; এবং একটা পরিশুষ্ক পরীক্ষার্থ-নল, সূচ্যগ্র নলোপরি অধোমুথে ধরিয়া উত্থিত বায়ু সঞ্চয় কর। যদি সঞ্চিত বায়ু জুলিয়া দিলে নিঃশব্দে দগ্ধ হয়, বুঝিলে, কুপস্থিত সমুদয় বাতাস অপসারিত হইয়া গিয়াছে। এই রূপে বাতাস-অপসারণ স্থিরসাব্যস্ত হইলে, নল-চ্ছিদ্রের উপর একটা দীপশিখা প্রয়োগ কর । জলজান স্থির অগ্নিশিখা ጏዕ: নিঃসৃত করিয়া দগ্ধ হইলে ; এই শিখর উপর দ্বিতীয় পরীক্ষার ন্যার একখানি শীতল ও পরিশুদ্ধ কাচপাত্র ধরিলে, কাচপাত্রে শিশির-বিন্দুবিন্যাস অর্থাৎ সূক্ষ জলকণাসমূহ লক্ষিত হইবে। অতএব প্রতীয়মান হইতেছে যে “ দাহন-কালে জলজান ভূবায়ুস্থ অমুঙ্গানের সম্বিত সংযুক্ত হইয় জলের উৎপত্তি করে"। ১৯ পরীক্ষা।—এখন জলজান-দাহনকালে জল ভিন্ন অন্য কোন পদার্থ উৎপন্ন ছর কি না পরীক্ষা করিয়া দেখ। এই জন্যে একটা বড় রকম বোতল লইয় তাহার অত্যন্তরে জলজানের অগ্নিশিখা দাহন কর, এবং যে বাতালে জলজানশিখা দগ্ধ হইল, প্রথম পরীক্ষার ন্যায় তাহার মধ্যে কিয়ৎ পরিমাণ পরিস্কার চুনের জল ঢালিয়া দাও। দেখ চুনেরজল মোটেই দুগ্ধবৎ হইল না। তাতএব প্রতীয়মান হইতেছে, জলজান-দাম্বনদ্বারা একটুও আঙ্গারিকায়ের [Carbonic Acid] উৎপত্তি হয় নাই। এইরূপ অন্যান্য অনেক পরীক্ষা করিয়া রসায়নবেত্তারা সিদ্ধান্ত করেন যে, জলজান-দানকালে জল ভিন্ন অন্য কোন পদার্থই উৎপন্ন হয় না। যদি অ2দশ পরীক্ষা এরূপে সম্পন্ন করা স্কয়, যে গ্লাসটা কিয়ৎ কাল পর্য্যন্ত শীতল থাকিবে, তাছা হইলে জলজান দাহন করিয়া এক গ্লাসপরিপূর্ণ জল সঞ্চয় করা যায়। দ্বিতীয় পরীক্ষাতে বাতিদাহন করিয়া যে জল সঞ্চিত হইয়াছিল, তাছাতে কিঞ্চিৎ কাজলের অস্বিাদন ছিল, কিন্তু জলজান দাহন করিয়া যে জল প্রস্তত হয় তাছা সম্পূর্ণরূপে বিশুদ্ধ, ইছাতে কাজলের লেশমাত্রও লক্ষিত হয় না। এখন বাতি-দাহনকালে কোথা হইতে জল উৎপন্ন ছয় বুঝিতে পারিতেছি ; বাতির মোমে নিশ্চয়ই জলজান থাকিবে, এবং এই জলঙ্গানের সহিত ভুবায়ুস্থ অমঙ্গনের রাসায়নিক-সংযোগে জলের উৎপত্তি হয়। অতএব দেখিতেছ প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ভিন্ন২ অংশগুলি কত গুঢ় ভাবে সম্বন্ধ ; শুদ্ধ “জলের "বিষয় শিখিতে গিয়া আমরা " বায়ুর " বিষয়েও জ্ঞানলাভ করিলাম, কারণ পূৰ্ব্বেই প্রতিপন্ন হুইয়াছে জল কেবল দুইট ভিন্ন প্রকার বায়বীয় পদার্থের সংযোগে সমুৎপন্ন।