[ ৫১ ] অতএব এন্থলেও প্রতীয়মান হইতেছে, যে “বিসদৃশ" পদার্থের মধ্যে রাসায়নিক সংযোগ সংঘটিত হয়। পটাস ও যবক্ষরিকায় যেরূপ বিসদৃশ, তদপেক্ষ বিসদৃশ আর দুইটা পদাৰ্থ প্রাপ্ত হওয়া কঠিন, কিন্তু এই দুইটা পদাৰ্থ সংযুক্ত হইয়া ক্ষুবিদিত সোর নামক এরূপ একটা বস্তু উৎপন্ন করে, যাহা গুণসম্বন্ধে উপকরণদ্বয়ের প্রত্যেকট হইতেই সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকার। 85 –oft; [Carbon 1 | “অঙ্গার" কঠিন পদার্থ। ইহা অসংযুক্ত অবস্থায় সামান্য অঙ্গার cেharcoal] এবং কোক বা কোল রূপে পরিজ্ঞাত। অঙ্গরি [Carbon] অসংযুক্ত অবস্থায়, “ হীরক” ও “কৃষ্ণ-সীস " [Black lead] রূপেও অবস্থিতি করে। হীরক ও কৃষ্ণ-সীস দেখিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকার। প্রথমটা বর্ণহীন কঠিন [Hard] রত্নবিশেষ, এবং দ্বিতীয়ট লেডপেন্সিল-প্রস্তুত-জন্যে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এত বাহিক বৈলক্ষণ্য সত্বেও, সামান্য অঙ্গরি [Charcoal], হীরক, ও কৃষ্ণ-নীল যে “ একই রাসায়নিক পদার্থ" ইছা কিরূপে প্রতিপন্ন করা যায় ? অম্লজানবায়ুর মধ্যে “ সামান্য অঙ্গার " [Charcoal] দাহন করিলে, আঙ্গারিকামুবায়ু উৎপন্ন হয়, এবং সীমান্য অঙ্গীরের পরিবর্তে উদ্ধার মধ্যে “ হীরক " বা “কৃষ্ণ-সীস" দাহন করিলেও সেই আঙ্গারিকামবায়ু প্রাপ্ত হওয়া যায়। অতএব এই পরীক্ষায় সিদ্ধান্ত ছয় যে পূৰ্ব্বোক্ত তিনটা পদার্থের মধ্যেই অঙ্গার [ Carbon ] বিদ্যমান আছে। কিন্তু অঙ্গার ব্যতীত উছাদের মধ্যে কি আর কোন পদার্থই নাই ? না, কারণ এই তিনটা বস্তু সমান পরিমাণে লইয়া ভিন্ন ২ পাত্রে দগ্ধ করিলে, “ প্রত্যেক পাত্রেই সমান পরিমাণ" আঙ্গারিকামবায়ু উৎপন্ন হয়। ১২ গ্রেন ওজনে সামান্য অঙ্গার ১২ গ্রেন ওজনে কৃষ্ণ-সীস এবং ১২ গ্রেন ওজনে হীরক লইয়া ভিন্ন ২ পাত্রে দাহন করিলে, প্রত্যেক পাত্রের মধ্যেই ৪৪ গ্রেন করিয়া আঙ্গারিকায়বায়ু প্রাপ্ত হওয়া যায়। অতএব বহুমূল্য রত্ন-শ্রেষ্ঠ হীরক এবং সামান্য অঙ্গার, দেখিতে অত্যন্ত অসদৃশ হইলেও, একই রাসায়নিক পদাৰ্থ অৰ্থাৎ অঙ্গারের রূপান্তরমাত্র । অঙ্গার, উদ্ভিদ ও প্রাণী শরীরের অপরিহার্য্য উপকরণ। কাষ্টদষ্ণাঙ্গারের [Wood Charcoal] sco stfan often otofs [Form] 'e to [Texture] দেখিতে পাওয়া যায়, এবং আস্তেই মাংস দাহন কৰিলেও, অনতিবিলম্বে কৃষ্ণবর্ণ অঙ্গার দৃষ্ট হইয়া থাকে। কিন্তু কষ্ট অথবা মাংস সম্পূর্ণরূথে দগ্ধ ছইলে সমুদয় অঙ্গারই আঙ্গারিকল্পবায়ুরূপে অন্তৰ্ছিত হুইয়া যায়, এপুং কেবল ५क'ौ শ্বেতবর্ণ ক্ষার অত্য"প পরিমাণে পশ্চাৎ নিপতিত থাকে।
