পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3ԵՀ তুমি একাৰ্য্যে অগ্রসর হও, তাহা হইলে নিশ্চয় বলিতেছি তোমাকে রাজ্য হইতে বহিস্কৃত করিব । স্নেহের অনুরোধ কখনই আমাকে এ বিষয়হইতে বিরত করিতে পারিবে না ।” সেউতী বাই । f [রহস-সন্দর্ভ | করিতেছে । সেউতী জিজ্ঞাসা করিলেন, |“দিদি, এ কি ?” পাৰ্বতী বলিলেন “আর বোন ! দুর্ভাগ্যের কথা আর কেন জিজ্ঞাসা কর, আমি এইমাত্র স্বপনে দেখিলাম যেন আমাদের স্বামী লক্ষ্মীদাস পিতার এই ভয়প্রদর্শনে কিছুমাত্র ফকীরবেশে নিবিড় অরণ্যে চলিয়া গেলেন । শঙ্কিত না হইয়া সেউতী বাইকে বিবাহ করিয়া চক্ষু মেলিয়া দেখি যে, যথার্থই তাহা ঘটিয়াছে । বসিলেন । নরপতি শুনিবামাত্র অবিলম্বে র্তা- তিনি আমাদিগকে অসহায় রাখিয়া পলায়ন হাকে রাজ্য-পরিত্যাগ করিতে আজ্ঞাপ্রদান করিয়াছেন । এৰূপ দুৰ্দ্দশায় পড়া অপেক্ষা যদি DDDD S DD BBBBBB BBB BBBBS BBBBB DD DBB BD DDBB BBB BB মহিমা, তথাপি তিনি যুবরাজের সঙ্গে অনেক- ছিল ।” সেউতী কহিলেন, “চুপ কর, কাদিও না, গুলি হস্তী, অশ্ব ও যান বাহনাদি পাঠাইলেন। এখন কাদিলে নিস্তার নাই । কারণ আমাদিগের এই ৰূপে যুবরাজ লক্ষ্মীদাস র্তাহার দুই মহিলার | পালকীর বেহারারা যদি আমাদিগকে এৰূপ সহিত দেশভ্রমণে বহির্গত হইলেন । কিয়দূর অসহায় বলিয়া অবগত হয়, তাহা হইলে তাছাগমন করিয়া তাহার নিজ হস্তীট এবং তাহার রাও আমাদিগকে এই অরণ্যমধ্যে ফেলিয়া মহিষীদিগের পালকী ব্যতীত আর সমুদায় ; পলায়ন করিবে ; তাহা হইলে আর আমাদিগের অনুযাত্রিকদিগকে বিদায় করিয়া দিলেন । তৎ- বাহির হুইবার উপায় থাকিবে না । মন প্রফুল্ল পরে একাকী অরণ্যমধ্যদিয়া নূতন আবাসের ; রাখ, অবশ্যই কোন উপায় হইবে । আর আমরা অন্বেষণে চলিলেন । কিন্তু তিনি সে সকল স্থানের কিছুমাত্র অবগত ছিলেন না, সুতরা কিছুদূর যাইতে যাইতেই পথ হারাইলেন । কষ্ট্রের পরি সীমা রহিল না । তাহারা ফল, মূল ও রক্ষপত্র। ভক্ষণে জীবন ধারণ করিয়া দিন দিন ভ্রমণ করিতে লাগিলেন । রাত্রিকালে সকলে বনচর শ্বাপদ জস্তগণের ভীষণ চীংকারে ভয়ে ভয়ে কালযাপন করিতে লাগিলেন । পরিশেষে এক দিন রাত্ৰিযোগে তিনি মহিষীদ্বয়ের কষ্ট্রের বিষয় চিন্তা করিতে করিতে উন্মত্তপ্রায় হইয়া এবং তাহাদিগের দুৰ্দ্দশাদর্শন আর সহ্য করিতে না পারিয়া গাত্রোথান করিলেন । তৎপরে রাজবেশ পরিত্যাগ পূর্বক ফকীরের বেশ ধারণ করিয়া নিবিড় অরণ্যমধ্যে চলিয়া গেলেন । যুবরাজের গমনের কিছুকাল পরেই সেউতীর নিদ্রাভঙ্গ হইল, দেখিলেন পাৰ্বর্তী দীনভাবে যে স্বামীর সন্দর্শন লাভ করিতে পারিব না তাহাই বা কে বলিতে পারে । যাহা হউক, আমি এক্ষণে র্তাহার রাজবেশ ধারণ করি, এবং লোকের নিকট সেউতীরাজ বালিয়া আপনার পরিচয় দিব । আর তোমাকে মহিষী বলিয়া জানাইব । বেহরোরাও আমাকে যুবরাজ ভাবিয়া আমার আদেশানুসারে বনহইতে বহির্গত হইবে।” সেউতীর এই বাক্য শ্রবণে পাৰ্বতী ঈষৎ হাস্য করিয়া কহিলেন, “বোন ! বেস বলিয়াছ, তোমার बज्र नाश्न । डाल श्रामि३ ८डामान्न मश्षीि रुद्देश !' অনন্তর সেউতী স্বামীর বেশ পরিধান করিলেন, এবং পরদিন প্রাতঃকালে যুবরাজের হস্তীপৃষ্ঠে আরোহণ করিয়া বাহকগণকে বনহইতে বহির্গত হইতে আদেশ করিলেন । বাহকগণ সেউতীর আদর্শনে বিস্ময়াবিষ্ট ও চিন্তাকুলচিত্ত হইল, এবং পরম্পর বলিতে লাগিল, “ধনীদের মন