পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>8 নূতন গ্রন্থের সমালোচন । [ज़ इन7 नमडी সঞ্চিত হন । মানা প্রকার সামাজিক দোষও এই উপায়ে সংশোধতিহক্টতে পাবে । প্রহসনের এই উপকারই প্রধান ; এব• তন্নিমিত্তই ইহার বিশেষ সমাদর হইয়া থাকে। পরস্তু স্মৰ্ত্তব্য যে প্রহসনের প্রথম উদ্দেশ সিদ্ধ না হইলে তাহার দ্বিতীয় উদ্দেশ কদাপি সিদ্ধ হইতে পারে না । ফলে যে প্রহসন যত হাস্যদ্যোতক ও আমোদজনক হইবে সে ততই শাস্তা ও নীতি-প্রদর্শক হইবে । হাস্যদ্যোতনের ব্যাঘাত হইলে নীত্যুপদেশের ও বিলক্ষণ ব্যাঘাত হয়। এবিষয়ে বরণ প্রহসন নীতি-প্রদর্শক না इझेझ ८करुल 2८मामरमTांठक अनाञ्चारन रुझे८ङ পারে, কিন্তু প্রমোদকর না হইয়া কেবল নীতিপ্রদর্শক কদাপি হইতে পারে না । প্রহসনের এই উভয় উদ্দেশ্যের পরস্পর সম্বন্ধ স্মরণ না রাখিলে প্রহসনের দোষ গুণ কদাপি সমালোচিত হইতে পারে না । কেহ কেহ কহেন যে কোন ব্যক্তির গুপ্ত দোষ লইয়া আমোদ করায় ভদ্রতার ব্যাঘাত হয় । পরস্তু ভঁাহাদের স্মর্তব্য যে প্ৰহসনের লক্ষ্য দোষ ; সেই দোষই লোকে হাস্যৰূপ অন্ত্রে বিনষ্ট করিতে চেষ্টা করে ; মনুষ্য তাহার উদ্দেশ্য নহে; সুতরাং প্রহসনে কোন ব্যক্তির গুপ্ত কথা লইয়া আমোদ করা সিদ্ধ হয় না । অপর একাধারে বহু দোষ সৰ্বদা একত্র থাকে না ; আর একটমাত্র দোষের উল্লেখে প্রহসন প্রাঞ্জল করা দুষ্কর হইয়া উঠে, এই হেতু বিভিন্ন আধারের বিভিন্ন দোষ একত্র করিয়া বর্ণন করার রীতি আছে। ফলে কবিমাত্রেই এই নিয়মের অনু গামী ; এবং প্রায় সকলেই আপন ২ নায়ককে বিভিন্ন গুণ বা দোষের আধার করিয়া থাকেন । এই কৌশলের অবলম্বনে প্রহসনকারেরা অনেকে কহিয়া থাকেন যে র্তাহারা কম্পনার সহকারে আপন ২ নায়কের স্থষ্টি করিয়াছেন—কোন বি. শেষ ব্যক্তির আদর্শে তাছার • চিত্র করেন নাই । পরস্তু আমাদিগের বিবেচনায় সে ব থা কোন মতে বিশ্বাসযোগ্য নহে। যে সকল প্রহসন আমাদিগের দৃষ্টিগোচর হইয়াছে তাহার নায়ক প্রায়ই জনসমাজহইতে গৃহীত ; কেবল গ্রন্থকারের চাতুর্য্যে বা অক্ষমতা-দোষে তাহার কোন কোন অঙ্গ প্রপঞ্চিত, অধিকাকত, পরিবৰ্ত্তিত বা খণ্ডিত হইয়াছে, ইহা স্পষ্ট প্রতীত হয়। সাধারণের এন্ধপ জ্ঞান না থাকিলেও প্রহসনের দোষ গুণ বিচারসময়ে তাহারা যে নায়ককে আপন পরিচিত বা জ্ঞাত কোন ব্যক্তির সদৃশ বোধ করেন, তাহাই উত্তম হইয়াছে বলিয়া স্বীকার করেন, এবং যাহা জ্ঞাত ব্যক্তির অসদৃশ বোধ করেন, তাহা খণ্ডিত বা অপ্রশংসনীয় বোধ করেন । এই ভাবের প্রত্যাহারে গ্রন্থকারেরা কহেন যে নায়ক স্বভাবসিদ্ধ হইলেই প্রশস্ত, তদন্যথায় বিরুত হয় । প্রহসনের লক্ষণ, অভিধেয়, তাৎপর্য্য, ও দোষ গুণের চিহ্ল এতাবৎ বর্ণন করিয়া আমরা প্রস্তাবিত প্রহসনের সমালোচনে প্ররও হইতেছি । উক্ত প্রহসনে আটলরুষ বসু নাম কোন ভাক্তধাৰ্ম্মিক, কিন্তু প্ররণত লম্পট, মদ্যপায়ী, ধন-পিপাসুর বর্ণন আছে । ঐ ব্যক্তি পুতি কথার মাত্রায় “ বুঝলে কি না ” এই বাক্য কহিয়া থাকে এবং তদুদেশেই নাটক খানির নাম করণ হুইয়াছে। ঐ বালিশ অন্যে কিছুই বোঝে না এই ভাবিয়া সে সকলকে ঐ কথা বলে এমত নহে, কেবল আপন বাক্যসকল একত্রে স°লক্ষ করিতে পারে না বলিয়া মধ্যে মধ্যে এক ভণিতা বা বালিশ দিয়া সকলকে এক শয্যায় স্থাপিত করে। আমাদিগের পরিচিত ব্যক্তির মধ্যে কএকের ঐ ৰূপ প্রতিকথার মাত্রায় এক একটি বালিশ দিবার অভ্যাস আছে ; এব• পাঠকবৃন্দ অনেকেই আপন মাপন পরিজ্ঞাত ব্যক্তির মধ্যে উছার দৃষ্টান্ত পাইবেন । বৰ্ত্তমান প্রজসনের ব্যাঙ্গে তাহাদের ঐ কুৎসিত অভ্যাস পরি