পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭ থও ] নূতন গ্রস্থের সমালোচন । ১৫ ত্যক্ত কৃষ্টলে গ্রন্থকারের আয়াস অনেক অংশে সফল হইয়াছে মানিতে হইবে । কথিত হইয়াছে যে ঐ “ বুঝলে-কি-না” বাক্যানুরাগী ভাক্ত-ধাৰ্ম্মিল ছিলেন; তন্মধ্যে র্তাহার ভাক্তত্ব প্রতিপাদনার্থে গ্রন্থের প্রায় সমস্তই বিনিযুক্ত হইয়াছে ; এবং ধাৰ্ম্মিকতা প্রতিপন্ন করণার্থে তিনি অশ্লিষ্ট-কৰ্ম্মাদিগের “ জাত মারেন” এই ৰূপ বর্ণন করা হইয়াছে। পরস্তু ধাৰ্ম্মিকমাত্রেরই উচিত যে অশিষ্টের দমন করেন, অতএব তাহা কেবল ভাত্তের লক্ষণ নহে ; গ্রন্থে তাহাই কম্পিত হইয়াছে, ইহা অামাদিগের মতে বিহিত হয় নাই। ধাৰ্ম্মিকহইতে ভাক্ত ধাৰ্ম্মিক স্বতন্ত্র, এব• তাহাদের লক্ষণও স্বতন্ত্র করা কর্তব্য । আমাদিগের বোধ আছে যে ভাত্ত্বেরা ধাৰ্ম্মিক অপেক্ষা ধাৰ্ম্মিকতার ভাণ অধিক করিয়া থাকে ; কেহ প্রতি কথায় “প্রভো তোমার ইচ্ছা” কহিয়া থাকে ; কেহ সময়ে সময়ে ‘ব্রজরাজ কিশোরের ” নামোচ্চারণ করে ; কেহ প্রকাশ করে যে ভগবানের সহিত তাহার কথোপকথন হয়, এব° তাহার প্রমাণার্থে অকস্মাৎ গৃহছাদপ্রতি অবলোকন করিয়া কহে “ প্ৰভু কি আজ্ঞা P/ এই প্রকার অলঙ্কার বর্তমান নায়কের উপলক্ষে প্রযুক্ত হইলে বোধ হয় বিহিত হইত। সে যাহা হউক, ঐ অটল আপন পল্লীতে ধাৰ্ম্মিক বলিয়া প্রসিদ্ধ ছিল, এব• অনেক অনাথা রদ্ধা প্রতিবাসিনী অাপন আপন ধন সম্পত্তি বিশ্বাসী বলিয়া তাহার নিকট গচ্ছিত করিয়া রাথিত । তন্মধ্যে হাবলের মাত৷ নাম্নী এক প্রৌঢ়া বিধবা কিঞ্চিৎ অর্থ ঐ অটলের নিকট গচ্ছিত করিয়াছিল । সে এক দিন প্রত্যুষে কুমুদিনী নাম্নী এক নবীন প্রতিবাসিনীর সহিত । গঙ্গাস্নানে যাইতেছে, পথিমধ্যে সম্মুখে অটলের । বাট দেখিয়া আপন দুঃখের উল্লেখে কহিতেছে সে । অটলের নিকট যে টাকা রাথিয়াছিল সে তাহার ; আর স্বীকার করে না, এবণ ঐ টাকার প্রতিপ্রাপ্তির | উপায় নিমিত্ত কুমুদিনীর স্বামী চেষ্টা না করিলে অন্য উপায় নাই । এই প্রস্তাব লইয়া প্রক্সনের আরম্ভ হইয়াছে ; এবং উহার বর্ণনও অতি । পরিপাটৰূপে নিম্পন্ন করা হইয়াছে। ছাবলের । মাতার কত টাকা আছে এই প্রশ্নের উত্তরে । সে অশিক্ষিতা ভীতা স্ত্রীর প্রকত লক্ষণানুসারে কহে—“ লেী, আমার মাথা খাও, আর কারে! কাছে বলো না ; আমি অপেপয়ের কাছে এই— এই—এই—বারো পোণ তার দশ গগু খানি রেখেছি, ; তা রাখলে কি হবে বেী, ও অপেপয়ে কি তা আর উপুড় হাত করবে। হায়! হায় ” এই কথোপকথন-সময়ে আটলরুষঃ চক্ষুমার্জন ও জুম্ভণ করিতে করিতে আপন বাটদ্বারে আসিয়া উপস্তিত হইল ; তদৃষ্টে উক্ত দুই রমণী পলায়ন করিল। ঐ সময়ে অটলের পুরোঙ্কিত ও সভাপণ্ডিত বিদ্যালঙ্কার আসিয়া কুমুদিনীকে পাণপঙ্কে লিপ্ত করিবার মানসে সে কুমুদিনীর সহিত কি কথোপকথন করিয়াছিল তাহার বর্ণন ও তৎ, প্রসঙ্গে কিঞ্চিৎ পরামর্শ করে, তাহাতে অটলের দ্বিতীয় দোষ লম্পিট্যের প্রথম পরিচয় প্রদত্ত হয় । ধনাঢ্যদিগের খোসামুদে পারিষদ য়ে ৰূপ হইতে হয় তাহা বিদ্যালঙ্কারের চরিত্রে বিলক্ষণ ব্যক্ত হইয়াছে । এই ব্যক্তি গ্রন্থকারের প্রকত মানসপুএমাত্র, সন্দেহ নাই ; পরস্তু আমরা ইহার আদশ বোধ হয় নগরের প্রতি পল্লীতে প্রদর্শন করিতে পারি এবণ ইহা গ্রন্থকারের প্রশংসা । অটলের তৃতীয় দোষ অখাদ্যানুরাগ । তাহার পরিবর্ণনার্থে পিৰু কোচমানের সহিত র্তাহার কিঞ্চিৎ কথোপকথন হুইয়াছে. তাছার মৰ্ম্ম এই যে পিক অটল বাবুর মিমি ও অশ্বশালায় তিন চারি জাতীয় মা’স ও থেচরায় পাক করিয়া রাখিবে। এই ব্যাপারের পর কুমুদিনীর স্বামী দপনারায়ণ স্ত্রীর নিকট অটল ও বিদ্যালঙ্কারের কুমন্ত্রণার কথা শ্রবণ করত রাগে উন্মত্ত হইয়া অটলের শাসন-নিমিত্ত ঘষ্টি হস্তে রঙ্গ স্থলে উপনীত হয় । কিন্তু গৃহদ্বারে অটলকে দেখিবা মাত্র তাহার সাহসামি একেবারে নিবিগ্ল কইল, এব° সে প্রকারের পন্থা পরিত্যাগ করিয়া চক্রান্তরে অটলকে শাস্তি দিবার কল্পনায় নিমগ্ন হইল । গেহিনীর ধৰ্ম্ম নষ্ট করিবার কুমন্ত্রণা-কারকদিগের দর্শনে কোন প্রক্লত পুৰুষের পক্ষে কোপের আধিক্য হওয়াই সম্ভাবনা, পরন্তু বোধ হয় বাঙ্গালী বলিয়া তাহার অন্য খায় কৌশলের অবলম্বন দপন রায়ণের পক্ষে বিশেষ