পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

оъ 4le I) বাকুনগরস্থ চিরপ্রদীপ্ত হুতাশন । , } \, শিখা নির্গত হইতেছে । তদৃষ্টে অনুভব হইল যেন আমরা পরীদিগের রাজপ্রাসাদে সমাগত হইয়াছি।” অত্যন্ত প্রাচীন সময়ে উক্ত স্থানের বিবরণ কিছুই পরিজ্ঞাত ছিল না। পরন্তু মাসুদি নাম এক আরব্য গ্রন্থকার ৯০০ বৎসর পূর্বে তাহার রত্তান্ত প্রকাশ করেন । তাহাতে ব্যক্ত আছে যে বাকু নগরে শ্বেতবর্ণ শৈলজ তৈলের খনিহইতে অবিরত অতু্যচ্চ স্তম্ভাকার আলোকশিখা উত্থিত হয় । “ ঐ শিখা বহু ক্রোশ मूत्वश्रेष्ठ मृडे श्ड़ेब्रा थाहरू ।। 4ब* श्राप्श्वञ्च বিবর-দেশহইতে উত্তপ্ত প্রস্তর রাশি বজু সদৃশ ভয়ানক শব্দ সহকারে বিনির্গত হয়।” প্রাচীন কালের কোন ইউরোপীয় গ্রন্থকার এতদৃবিষয়ের যদি কোন প্রামাণ্য বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়া থাকেন, তাহা আমাদিগের পরিজ্ঞাত নহে, কেবল ১৪৭০ খ্ৰীষ্টাব্দে আলেকজান্দর নিকিটিন নামা ৰুসীয় পর্য্যটক ভারতবর্ষে আগমনকালে উল্লিখিত অক্ষয় অনল-শিখা প্রত্যক্ষ গোচর করিয়াছিলেন । e বাকু নগরে যে সকল অমু্যপাসকের গমন করে তাহারা তথায় আট বৎসর পর্য্যন্ত বাস করিয়া থাকে; ইহাই প্রসিদ্ধ নিয়ম। পরস্তু তত্ৰত্য अज बाबू अडाख অহিতকারক ; অতএব প্রায় অনেকে চারি পাচ বৎসর বাস করত প্রস্থান করিতে প্রণোদিত হইয়া থাকে। তথাপি কোন কোন হিন্দু তাপসের জীবদ্দশ পর্যন্ত ঐ উৎ কট অস্বাস্থ্যজনক আমেয় প্রদেশে অমির উপাসনায় যাপন করে । প্রসিদ্ধ আছে, ঐ সমস্ত তাপসেরা নিরামিস দ্রব্যাহারী, এব• প্রত্যেকে স্বকরে পাক ভিন্ন অন্যের পক্ক দ্রব্য গ্রহণ করে না । তভিন্ন মুক্তকেশ ও নমদেহ লক্ষণদ্বারা বিলক্ষণ প্রতিপন্ন এব• সপ্রমাণ হুইয়াছে, যে তাহারা ভারতবর্ষীয় প্রকৃত হিন্ডুযোগী। প্রসিদ্ধ श्रारश् ८य बांकू-मभेंद्व-भएषा ठाशांज्ञा मिछा रुदख ভূম্যাদিকর্ষণ করণদ্বারা উপজীব্য সমুহ করে, এবং পর্ণকুটীরে বাস করে। ঐ সকল যোগীরা ধনাঢ্য অমুপিাসকদিগের নিকটহইতে বিশেষ সাহায্য প্রাপ্ত হয় । উত্তমন্দ নাম এক ব্যক্তি হিন্দু কিয়ংকাল হইল, আইকন নগরে বাস করিয়াছিল । যে সকল বণিকেরা কাম্পীয় ছদে বাণিজ্যার্থে যাত্র করে তাহাদিগের মধ্যে অনেকে পূৰ্বোক্ত যোগীদিগের সাহায্যার্থ অর্থ প্রদান করিয়া থাকে ; এবং ঐ অর্থদান কোন মতে নিষ্ফল হয় না ; যেহেতু কাম্পীয় ছদভ্রমণকারী বণিকৃদিগের দিগ নিৰূপণার্থ কেবল বাকুনগরস্থ অনলশিখা উৎক্লষ্ট উপায় বলিয়া প্রসিদ্ধ আছে । অপর কএক জন ভ্রমণকারী লিথিয়াছেন যে, বাকুনগরস্থ মন্দিরের যে স্থানহইতে অগ্নিশিখা নিগত হয়, তাহার চতুৰ্দ্দিক প্রাচীরে বেষ্টিত আছে। ঐ বেষ্টিত স্থান অতিশয় মনোরম্য । তাহারা তন্মধ্যে প্রবেশ-পূর্বক চতুৰ্দ্দিগে অবলোকন করত বিস্ময়াভিভূত হইয়াছিলেন। তাহারা লেখেন “ অতি প্রকাণ্ড একটা চতুষ্কোণ প্রাঙ্গণ সম্পূর্ণ জ্যোতিৰ্ম্ময়, এব• তাহার মধ্য স্থলে এক প্রাসাদহইতে ক্রমাগত অতি তেজস্কর অালোক-রাশি উৎসের ন্যায় নির্গত হইতেছিল। হিন্দু তাপসদিগের কুটার-সকল প্রাঙ্গণের প্রাচীর প্রদেশের চতুৰ্ধারে সন্নিবেশিত ছিল। ঐ তাপসদিগের পরিচ্ছদ অবিকল হিন্দুস্থানীয় সন্ন্যাসীদিগের সদৃশ । তাছাদের ক্লষ্ণ দেহ ও মস্তকে জটাপাশ লক্ষণে অবিকল ভারতবর্ষীয়ের চিন্তু ব্যক্ত হয় । আমরা তথায় সমাগত হইবামাত্র উল্লিখিত তাপসগণ আমাদিগকে আতিথ্য-সৎকার গ্রহণ করিতে অনুরোধ করত আমাদিগকে কুটীরাভ্যস্তরে লইয়া গেল। তা