পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ల్పి శీఘ్ర ] ভিমৰুল, বোলতা, কাকড়াবীছা প্রভূতি কীট মশকের ন্যায় সৰ্বদা বিরক্তজনক নহে ; পরস্তু তাহাদের বিষ ভয়ানক জালা ও যাতনা দায়ক । অপর অনেক কীট আছে, যাহা তাহাদিগাপেক্ষা অধিকতর ভয়ানক । পাঠকবর্গের স্মরণ থাকিতে পারে, আকরিক খণ্ডের চিগগা নামক এক প্রকার কীটের বিবরণ পূর্বে এই পত্রে প্রকাশিত হইয়াছে। শরীরের মধ্যে ঐ কীটের আশ্রয় গ্রহণ কালে তাহা কেহই পরিজ্ঞাত হইতে পারে না ; পরন্তু তাহা শরীরের মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া অস্থি বিদ্ধ করে, ও কালকূট সদৃশ প্রাণ বিয়োগের হেতু হয় । এ স্থলে পাঠকবর্গের সূগোচরার্থ সেই প্রকার ক্ষুদ্রাবয়ব-বিশিষ্ট বিষদন্তক আর এক প্রকার কীটের বিবরণ প্রকটরূত হইল। ঐ কীট চিগগা কীটের ন্যায় শরীরে প্রবিষ্ট হয় না ; পরন্তু উহাদিগের দংশন বিষধর ভুজঙ্গের দ’শন-সদৃশ প্রাণঘাতক হয় ; এবং তাছার প্রতিকারের কোন সুবিহিত মহৌষধ এ পর্য্যন্ত পরিজ্ঞাত হয় নাই। ঐ কীট সামান্য ছারপোকাহইতে স্বতন্ত্র প্রাণী নহে । ছারপোকার ন্যায় তাহার সঙ্খ্যা অতিশয় অগণ্য ; তন্নিমিত্ত তাহা সঙ্কামক রোগসদৃশ বহুব্যাপক ও অত্যন্ত ভয়াবহ হয়। সৌভাগ্য বশতঃ এই প্রাণঘাতক জীব পারশ্য দেশের প্রান্তঃসীমায় মিয়ান নামক একটা অপরিজ্ঞাত যৎসামান্য নগরের মধ্যে আবদ্ধ আছে । তাহার বহির্ভাগে কদাপি দৃষ্ট কয় না। বোধ হয় ইহা অনুভব বিৰুদ্ধ নহে যে, স্থানীয় কোন বিশেষ কারণে এই সকল কীট প্রাণ-স-হারকত-ধৰ্ম্ম প্রাপ্ত হয় ; যেহেতু যে স্থানে এই সকল কীটের আবাস আছে সেই স্থানহইতে কিঞ্চিৎ দূরে আর সেই কীট তাদৃশ বিষাক্ত বোধ হয় না; এবং তদপেক্ষ দূরে আরও অপবিষাক্ত অনুভূত হইতে থাকে; এবং পরিশেষে অধিক দূরবর্তি স্থানে ঐ মিলে বা বিষদন্ত ছারপোকা । లిపి কীটকে লইয়া গেলে আর কিঞ্চিম্মাত্র বিষ উপলব্ধি হয় না। এবং তদশনে সামান্য গন্ধকীট বা ছারপোকার দংশন-সদৃশ অনিষ্টমাত্র উদ্ভব হইয়া থাকে । এই জীবসম্বন্ধে অপর এক আশ্চর্য্য আখ্যান আছে । কথিত আছে, যে ইহার দংশনে বিদেশীয় ব্যক্তির প্রাণ বিনষ্ট হয় ; কিন্তু মিয়ান নগর নিবাসীদিগের তাহাতে কোন বিশেষ হানি হয় না । পরন্তু যে ব্যক্তি স্বদেশ পরিত্যাগ করিয়া কিয়ৎকাল ভিন্ন স্থানে অবস্থিতি করিয়া পুনশ্চ স্বদেশে প্রত্যাগত হয় সে প্রাগুক্ত কীটের দশনে মৃতু্যকর্তৃক আক্রান্ত হয় । অধিকন্তু ইহার আঘাতত্বইতে এক বার নিস্কৃতি লাভ করিতে পারিলে সঙ্কামক রোগ-সদৃশ আর তাহার আক্রমণে কোন অনিষ্ট ঘটে না । .সর জন মাণ্ডবিল নাম জনৈক ইংলণ্ডীয় ভ্রমণকারী চতুৰ্দ্দশ ই-রাজী শতাবে পূৰ্ব দেশ ভ্রমণকালে প্ৰtাগুক্ত জীবের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন । তিনি লিখেন যে “ তিত্ৰিজহইতে পূৰ্ব দেশাভিমুখে আগমনকালে পথিমধ্যে একটা নগর প্রাপ্ত হওয়া যায়। ঐ স্থান অত্যন্ত অসাস্থ্য জনক । তথায় খ্ৰীষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী লোকে বাস করিলে অপকাল মধ্যে মৃতু্যকর্তৃক আক্রান্ত হয়। কিন্তু তাহার বিশেষ কারণ পরিজ্ঞাত হয় নাই।” পারশ্য দেশে যে সকল ভ্রমণকারিগণ পরিভ্রমণ করিয়াছেন তাহারা সকলেই উক্ত মারাত্মক জীবের বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । পোটর সাহেব লিখিয়াছেন যে “ বিদেশীয় পথিক বা অন্য কোন ব্যক্তি ঐ ভয়াবহ নগরের সৃপরিচ্ছন্ন স্থানে বাস না করিলে কদাপি সুস্থ শরীরে স্বদেশে প্রত্যাগমণ করিতে পারে না । তথায় এক প্রকার বিষাক্ত কীট আছে, ঐ সমস্ত কীট প্রায় লক্ষাধিক শ্ৰাবক প্রসব করত পুরাতন গৃহের দেয়ালে পরিভ্রমণ করে। ইহার দশন