পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३ ७खङ्गारप्लेज़ ट्रेडिशन । [রহস্য-সন্দর্ভ। হইতে লাগিল। সৌভাগ্যক্রমে মূলরাজের খুল্লতাত ভীমদেব তৎকালে ভ্রাতুঙ্গুপ্রের আনুকূল্যার্থ সহাবুদ্দীনকে পরাভূত করত সিন্ধু-তীরবর্তী অরণ্যমধ্যে দূরীক্লত করিয়া রাজ্য নিষ্কণ্টক করিলেন । কিয়দিবসের পর মূলরাজের মৃত্যু হয়, এবং দ্বিতীয় ভীমদেব ১১৭১ খ্ৰীষ্টাব্দে তৎপদে অভিষিক্ত হয়েন । ইনিই সোলাঙ্কী-বংশের শেষ নৃপতি ছিলেন । র্তাহার অসামান্য পরাক্রমের কয়েকটী প্রোজ্জ্বল উদাহরণ ইতিহাস-মধ্যে প্রাপ্ত হওয়া যায়। পরস্তু তাহার এই অতুল খ্যাতি কোন মতেই ভারতবর্ষের প্রীতিপ্রদ বলা যায় না, কেননা কনৌজের রাঠোর বংশীয়, দিল্লীস্থ তুয়ার-বর্ণীয়, এবং আজমীরের চেহান-বগীয় নৃপতিগণ তৎকালে ভারতবর্ষের মধ্যে দিগবিজয়ী যবনদিগের আক্রমণের দুৰ্ভেদ্য প্রাচীরস্বৰূপ হইয়া বারবার যবনদিগকে প্রতিরোধ করিতেছিলেন, ঐ সময়ে ভীমদেব তৎপক্ষে সমিষ্ট হইয়া কোথায় যবনদিগকে দূরীক্লত করিয়া ভারতবর্ষীয় পুরাবৃত্ত-গ্রন্থের পত্রাবলী হিন্দু-ভূপালবর্গের রাজত্ববর্ণনায় পরিসমাপ্ত হয় তদুপায় করিবেন, না তেঁহ একটা স্বদেশস্থা রাজপুত্র-বালার সম্বন্ধে এক সামান্য বিবাদ উপলক্ষ করিয়া নিজ অস্ত্ৰেই কথিত চৌহান ক্ষত্ৰিয়কুল নিৰ্ম্মল করণার্থ সমুদ্যত হইয়াছিলেন। প্রোক্ত বিবাদাবসানে তেহ পুনশ্চ আর এক মহা সঞ্জামে লিপ্ত হন । এই শেষোক্ত যুদ্ধের কারণে কথিত হইয়াছে যে একদার্তাহার কতিপয় জ্ঞাতি আজমীর-প্রদেশস্থ চৌহান অধীশ্বরের সভায় উপস্থিত ছিলেন। তৎকালীন কোন বিদেশীয় কবি সেই সভাস্থলে সোলাঙ্কী-ব’লীয় ভূপালরদের পূৰ্বপুৰুষদিগের যুদ্ধবিগ্রহের ও অন্যান্য অসাধারণ কীৰ্ত্তিকলাপের অনুকীৰ্ত্তন করেন। উক্ত সভাস্থলে মহারাজা ভীমদেবের কোন জ্ঞাতি উল্লিখিত কীৰ্ত্ত্যনুশ্রবণ-সময়ে প্রফুল্লমনে অন্য মনস্ক হইয় গোপে চাড়া দিয়াছিলেন । পরন্তু ঐ কাৰ্য্য রাজপুএ ক্ষত্ৰিয়দিগের মধ্যে নিতান্ত আম্পদ্ধার চিন্তু বলিয়া সর্বত্র প্রসিদ্ধ আছে । তদ্ধেতুক সভাস্থিত কোন চৌহান মহাকুপিত হইয়া ভীমদেবের উপরোক্ত জ্ঞাতির শিরশেভূদনপূর্বক অবমানের পরিশোধ প্রদান করিলেন । উল্লিখিত ঘটনায় মহারাজা ভীমদেব আত্মীয়-ঘাতিতার পরিশোধ করণার্থ আজমীর ও দিল্ল্যধিপতি মহারাজা সোমেশ্বরের রাজ্য আক্রমণ করিয়া অপকাল যুদ্ধের পর দিল্লীশ্বরের প্রাণ-স°হারদ্বারা বৈর নির্যাতন করেন। পরন্তু মহাপ্রতাপ সুবিখ্যাত পৃথ্বীরাজ পিতৃ-মৃত্যুসংবাদ শ্রবণমাত্র ভীমদেবের সহিত যুদ্ধারম্ভ করিলেন । এই যুদ্ধে ভীমদেবের সৈন্য পরাভূত হইয়া স্বদেশে পলায়ন-পরায়ণ হইল। ঐ সময়ে মুহম্মদ ঘোরী পঞ্জাব প্রদেশ আক্রমণ করিয়াছিলেন। কিন্তু পৃথ্বীরাজ উক্ত যবনভূপালের সৈন্যসকলকে দূরীক্লত করণানন্তর নিষ্কণ্টকে রাজত্ব করিবেন, না কোন সামান্য গৃহবিবাদসূত্রে শত্রুহস্তে নিহত হইয়া পঞ্চস্ব প্রাপ্ত হইলেন। র্তাহার মৃত্যুতেই রাজস্থানের সমস্ত মহীপাল-বৃন্দের একতা একেবারে শিথিল হইয়া পড়িল । ঐ সুযোগে মুহম্মদ ঘোরী গুজরাটপ্রদেশাক্রমণে উদ্যত হইলেন। কিন্তু তৎকালে হিন্দুদিগের তেজস্বিতা কোন মতে একেবারে খৰ্ব হয় নাই ৷ মহারাজা ভীমদেব ১১৯৪ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রবল সৈন্য সঙ্গুত্বপূর্বক ঘোরীর সহিত সঙ্গামার্থ যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন । ঘোরী পরাভূত হইলেন, এব• তাহার পূর্ববৰ্ত্তী যবন ভূপালের ন্যায় অরণ্য মধ্যে আশ্রয় গ্রহণে প্রণোদিত হইয়া ছিলেন। তৎকালাবধি এক শত বৎসর যাবৎ যবন