পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

נן sא רס দিগকর্তৃক সৌরাষ্ট্রপ্রদেশ আক্রমণ নিবারিত থাকিল । ১২১৫ খ্রীষ্টা বদ দ্বিতীয় ভীমদেবের পরলোক প্রাপ্তিতে সোলাঙ্কী রাজত্বের লোপ হইয়া বঘেলা বণশে পর্য্যাপ্ত হয় ; এব° তদ্ধ শে বীর-ধবল সিংহ নাম কোন ভূপালহইতে বঘেলা রাজত্বের আরম্ভ হয় । কিন্তু ভারতবর্ষের এক তা তৎকালে বিলুপ্তপ্রায় হইয়া আসিয়াছিল, ও দেীভাগ্যের সমস্ত লক্ষণ ভারতবর্ষীয় হিন্দু রাজ্য তন্ত্রের উপর সম্পূর্ণৰূপে প্রতিফলিত হইতেছিল ; অতএব কুত্ৰাপি আর উন্নতির অশা ছিল না । প্রসিদ্ধ “ রাসমাল৷ ” নামক গ্রন্থে লিখিত হইয়াছে, বীরধবল সিংহের রাজত্বকালহইতে সিদ্ধরাজের সময় পর্য্যন্ত গুজরাট-প্রদেশ-মধ্যে হিন্দু ও জৈন এতদুভয় সাম্প্রদায়িক লোকদিগের অতিশয় বিসংবাদ ঘটিত, এবং হিন্দুহইতে देख्न, ७ देझनश्३८ङ श्झुि बू°छिप्भिज्ञ श्ष्ख् গুজরাটের শাসনদণ্ড পুনঃ পুনঃ হস্তান্তর হইয়াছিল । পরস্তু উক্ত সিদ্ধরাজের রাজস্ব শেষ হইলে সৌরাষ্ট্রপ্রদেশে হিন্দু-আধিপত্যই অধিক কাল স্থায়ী হয়, এবং ঐ সমস্ত হিন্দু নৃপতিবৃন্দ জৈন-মতাবলম্বী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মহীপালদিগের প্রীত্যর্থে কতকগুলি অঙ্গীকারানুযায়ী-কার্য্য-করণে প্রণোদিত হইয়াছিলেন । তদ্বিৰুদ্ধে বিদ্বেষী স্বম্পদায়ের ইষ্টানিষ্ট প্রতি লক্ষ্য করিতেন না ; সকলকেই তুল্যৰূপে ব্যবহার করিতেন । গুজরাটের প্রাচীন নৃপতিগণ বৃহৎ অট্টালিকার অনুরাগী ছিলেন, তাহাদিগের চরিত্র হত্ম্যানুরাগী গ্রীকদিগহইতে তাদৃশ নিরুষ্ট ছিল না । র্তাহার। যে সমস্ত প্রাসাদাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন, তাদৃশ মনোহর অট্টালিকা ও দেবালয় ভারতবর্ষে অল্পই দৃষ্ট হইয়া থাকিবে । পরন্তু ঐ সমস্ত প্রাচীন মন্দির ইদানী• অরণ্যানী মধ্যে সম্পূর্ণ অজ্ঞাতাবস্থায় খ্ৰীষ্টীন হইয়া ভূতলভ্রষ্ট গুজরাটের ইতিহাস । © হইতেছে। কেবল কএকটা অপূৰ্ব নিকেতন সম্পদশালী হিন্দুগণ প্রযত্ন সহকারে রক্ষা করিয়াছেন । প্রায় সমস্ত ভারতবর্ষের তীর্থ-দশকগণ তথায় গমন করিয়া থাকে । প্রাচীনকালের বিদেশীয় ভ্রমণকারিগণ বর্ণন করিয়াছেন যে, ইউরোপের মধ্যে বিনিস নগরী বাণিজ্যবিষয়ে যাদৃশ অতুল বিখ্যাত ছিল, আশিয়া-মহাখণ্ডের মধ্যে তদ্রুপ সেীরাষ্ট্রের রাজপাট অনহিলবার অত্যন্ত বাণিজ্যশালী নগর ছিল । দেবালয়, বিদ্যাগার, রাজাট্টালিকা, সুদীর্ঘ ক্রীড়াপ্রাঙ্গণ, বিষ্কারমণ্ডপ, সুস্বচ্ছ সরোবর এব" শীতল ছায়াযুক্ত রক্ষাদিদ্বারা উক্ত নগর পরমশোভান্বিত ছিল। প্রসিদ্ধ আছে, উল্লিখিত ঐশ্বর্য্যশালী রাজপাট রোমদেশীয় সম্রাট অগষ্টসের গরীয়সী রাজধানীকে অবগণিত করিয়াছিল যাহা হউক সৌরাষ্ট্র-দেশের তাদৃশ অপরিসীম প্রভাব ও অতুল্য সম্পদ সোলাঙ্কী-বংশের লোপ হওনাবধি অস্তগত হইয়াছে । মহারাজ বীরধবলের পরলোকপ্রাপ্তির পর ক্রমান্বয়ে চারি জন ভূপাল আনহিলবারাস্থ রাজসিংহাসনে অধিৰূঢ় হইয়াছিলেন, তাহারা সকলেই অজিতেন্দ্রিয়, সম্পং-সুখানুরক্ত, ও যুদ্ধ ব্যাপারে নিতান্ত অপটু ছিলেন। ইতিহাসমধ্যে তাদৃশ ভূপালরদের কোন প্রশংসা-যোগ্য ব্যাপার বর্ণিত হয় নাই । যিনি সৰ্বাদে রাজ্যাৰূঢ় হইয়াছিলেন র্তাহার নাম বিশল দেব। ঐ বিশল দেবের পরে অৰ্জ্জুন দেব রাজা হইয়াছিলেন। তৎপরে লবণ দেব সিংহাসনে আরোহণ করেন, এব• লবণের মৃত্যুর পর সারঙ্গ-দেব তদীয় সিংহাসনে আৰূঢ় হন। র্তাহার উওরাধিকারী কর্ধদেব। তিনিও পূৰ্বোক্ত নৃপতি চতুষ্টয়ের ন্যায় নির্বাৰ্য্য ছিলেন। তৎকালে যবনের গুজরাটপ্রদেশস্থ রাজ্যাপহরণের নিমিত্ত সৰ্বক্ষণই লোলুপ ছিল । এই সময়ে