পাতা:রহস্য-সন্দর্ভ (চতুর্থ পর্ব্ব).pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8९ યહ 1] জুৰমেশ্বর নগর । ԵՓ কার্য্যোপলক্ষে সুসজ্জিত হইয়াছে । কোথায় বা অতি কৌতুকাবহ মুখত্ৰ-সম্পন্ন কিন্তুত কিমাकाब्र पूर्डिंगकल विमाख श्ब्राह ; ५व° ८कान কোন স্থলে বা গম্ভীরারুতি শান্তস্বভাব মুনিগণ শিষ্য পরিবেষ্ঠিত হইয়া তাহাদিগকে উপদেশ প্রদান করিতেছে। এখানকার প্রত্যেক মন্দিরের দ্বারদেশোপরি নবগ্রহের মূৰ্ত্তি খোদিত আছে । এই ভুবনেশ্বর নগর কিবা এই প্রদেশের সমুদায় মন্দিরের নির্মাণ-প্রণালী একরূপ । এই জন্য ভূবনেশ্বরের একমাত্র বৃহন্মন্দিরের নির্মাণ-প্রণালীর পরিচয় প্রদান করিলেই, অপরাপর সমুদায় মন্দিরের আকার অনায়াসে হৃদয়ঙ্গম হইতে পারে। অতএব এই প্রস্তাবের শিরোভাগে কেবল লিঙ্গরাজ ভুবনেশ্বরের মন্দিরের চিত্র মুদ্রিত করা গেল । ঐ দেবালয় বাট চতুষ্কোণ; এবং ইহার চতুদিকেই র অাছে। প্রত্যেক দিকের প্রাচীরের দৈর্ঘ্য চারি শত হস্ত । ইহার পূর্বদিকে যে প্রবেশদ্বার আছে তাহার উভয় পাশ্বে পক্ষযুক্ত দুইটা ভীষণাকার সিংহমূর্তি অবস্থাপিত আছে। ঐ মন্দিরের ঔন্নত্য এক শত বিংশতি হস্ত । ইহার ভিত্তিতে অদ্ধ গোলারুতি অতি বিস্তীর্ণ ১ও ষোলট পল আছে । ঐ পল গুলি পৰ্য্যায় ক্রমে একটা বৃহৎ ও একটা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র, এবং একেবারে অলিন্দের উপরম্বইতে মন্দিরের অগ্রভাগ-পর্য্যস্ত উন্নত হইয়া সকল গুলি বক্রভাবে সঙ্কুচিত বইয়াছে ; কিন্তু পরস্পর সম্মুক্ত হয় নাই। উহার গলদেশ গোলাকার তদুপরি আটটা সিংহমূৰ্ত্তি আছে । ঐ সিংহের পৃষ্ঠদেশে শিরোবেষ্টনের ম্যায় গোলাকার এক খণ্ড প্রস্তর অবস্থাপিত হুইয়াছে। সেই প্রস্তরের উপর আবার আর একখণ্ড গোলাকার প্রস্তর প্রদত্ত হইয়াছে, ঐ প্রস্তরখণ্ডের আরুতি আমলকী কলের ন্যায় বর্ভুল বলিब्र! ७शरक ‘५ जांमला निजा” कार ! च८vांचगंक्लङ সুশ্রীকতা-সম্পাদনের নিমিত্ত ঐ আমলা শিলার উপর আবার দুই খানি শানকির মত প্রস্তরখণ্ড উপর্যুপরি বিপরীত ভাবে আছে। অপরাপর মন্দিরে তাদৃশ কএক খানি প্রস্তর প্রদত্ত হইয়া থাকে । ঐ প্রস্তর খানির যে ৰূপ বিস্তার হয়, তদনুসারে কখন উহার উপর একটী লৌহ শলাকা । কখন বা বিষ্ণুচক্র দৃষ্ট হয়। উৎসবের সময় উপস্থিত হইলে ঐ শলাকা বা বিষ্ণুচক্রের উপর পাণ্ডারা পতাকা প্রদান করিয়া থাকে । লিঙ্গরাঞ্জ ভুবনেশ্বরের মন্দিরের নিম্নভাগহইতে উপরিভাগ পর্য্যস্ত স্থানে স্থানে সিংহের আরুতি সকল খোদিত আছে। তাহাদিগের আস্যদেশ অতি অদ্ভূত। পৃথিবীর কোন প্রাণীর সহিত তাহার সাদৃশ্য নাই। সিংহমূৰ্ত্তি-খোদিত প্রস্তরগুলির মূল মন্দিরের ভিত্তির সহিত সংযুক্ত ; কিন্তু মূৰ্ত্তি গুলি অসংলগ্ন ও বহির্মুখ আছে । পাঠকগণ অস্মদেশের রথযাত্রার সময় অশ্ব যেৰূপে রথে সংযুক্ত থাকে তাহা স্মরণ করিলেই ঐ প্রণালী হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিবেন। ইতিপূর্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে দেবালয়ের পূর্বদ্বারে দুইটা সিংহমূৰ্ত্তি আছে ; ঐ মূর্তিদ্বয় অতিশয় বৃহৎ ও ভীষণাকার, এব• উহার পদদ্বয়ের মধ্যে মাতঙ্গের মূৰ্ত্তি আছে । ঐ মন্দিরের প্রবেশদ্বারের অভিমুখে আর একটা অট্টালিকা আছে তাছাও মন্দিরের ন্যায় বিবিধ ভূষণে বিভূষিত ও নানাপ্রকার দেবমূৰ্ত্তিতে সুমজ্জিত। সন্ন্যাসিগণ ঐ সকল দেবমূর্তিরও পূজা করিয়া থাকে। উৎকলদেশের ঐ সকল মন্দির ও মন্দিরের সন্মুখস্থিত লাটমন্দিরসকল অতিশয় পবিত্র বলিয়া পরিগণিত হয়। সন্মুখস্থ অট্টালিকাকে উড়ের জগন্মোন” বলিয়া কীৰ্ত্তন করিয়া থাকে। জগমোহনের সম্মুখে ষে আর একটা চতুষ্কোণ গৃহ আছে তাহার নাম “ভোগমণ্ডপ ।” ঐ গৃত্বে জুবনেশ্বর ও অন্যান্য দেবগণের ভোগ