পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ro রাজনারায়ণ বসুর আত্ম-চরিত । ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচারের নাম তিনি “নামাবলী” রাখিয়াছিলেন। আমাকে সর্বদাই বলিতেন “নাম্বলীটী ছাড়ােন।” একদিন প্রাতঃকালে গঙ্গাতীরে বেড়াইতে যাই । ফিরিয়া আসিতে বিলম্ব হওয়াতে তিনি বলিলেন যে আপনার দেরী হওয়াতে আমি মনে করিলাম যে “আপনি নৈমিষারণ্যে চলিয়া গিয়াছেন।” নৈমিষারণ্য কানপুরের পরপারে কিছুদূর হইতে আরম্ভ হইয়াছে। আমার হিন্দুভাবের প্রতি কটাক্ষ করিয়া ঐ কথা বলিয়াছিলেন। একদিন কানপুরের সকল ব্ৰাহ্মকে লইয়া আমি বিঠরগ্রামে বাল্মীকি-তপোবনে গমন করি। সেই বাল্মীকি-তপোবনে উপাসনা করিয়া বিকালে পরপারস্থ সীতাপরিহার মন্দিরের সম্মুখে এপারের ঘাটে বসিয়া রামায়ণ বিষয়ে বক্তৃতা করি। সমস্ত দিন আনন্দে কাটান যায়। বিঠর গ্রামে বৎসর বৎসর একটী মেসা হয়। ঐ গ্রামের অপর নাম ব্ৰহ্মাবৰ্ত্ত। ঐস্থানে একটী মহারাষ্ট্ৰীয় উপনিবেশ আছে। ঐস্থানে খ্যাত্যাপন্ন ( সুখ্যাতিসম্পন্ন কি কুখ্যাতিসম্পন্ন পাঠকবর্গ বিবেচনা করিবেন।) ধুন্ধপন্থ নানাসাহেবের নিবাস ছিল। দেখিলাম তাহার বাটী ইংরাজের সমভূমি করিয়াছে। কেবল একজোড়া প্ৰকাণ্ড ফটক পড়িয়া আছে। বিস্তৃরবাসী মহারাষ্ট্রীয় কন্যাগুলি চেহারা বেশভূষায় ঠিক আমাদিগের বাঙ্গালী বালিকার ন্যায় দেখিতে। তাহাদিগকে দেখিয়া পরম আহলাদিত হইলাম। আমার কানপুরে অবস্থিতির সময় গবৰ্ণমেণ্ট স্কুল-সব ইনস্পেক্টর ও আমার হিন্দু কলেজের সমাধ্যায়ী বাবু ভূদেবচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের প্রতি ( তখন তিনি C. I. E. হন নাই।) উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের হিন্দী স্কুল। সকল পরিদর্শন করিয়া ঐ সকল স্কুলের যে সকল নিয়ম বঙ্গদেশের বাঙ্গলা স্কুলে চালাইবার উপযুক্ত তাহা গ্ৰহণ করিবার ভার অর্পণ করেন। তিনি সেই ভারপ্রাপ্ত হইয়া ঐ সকল স্কুল পরিদর্শনার্থ গমন করেন। যখন তিনি