পাতা:রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত.pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবন ! ܘ লক্ষ্মেীয়ে অবস্থিতিকালে আমাকে প্ৰদান করিয়াছিলেন । তাহা আমি যত্নপূর্বক রাখিয়া দিয়াছি। দক্ষিণারঞ্জন বলিতেন যে তিনি যেমন ধৰ্ম্মসংস্কারক তেমনি সমাজ ংস্কারক। রাণী বসন্তকুমারীকে বৰ্দ্ধমান হইতে কলিকাতায় আনিয়া কলিকাতার পুলিস ম্যাজিষ্ট্রেট বার্চ সাহেবের সম্মুখে Civil Marriage নামক বিবাহ করেন। ভাস্কর সম্পাদক গুড়গুড়ে পণ্ডিত তাহার সাক্ষী থাকেন। গুড়গুড়ে পণ্ডিতের প্রকৃত নাম গৌরীশঙ্কর তািট্টাচাৰ্য্য। লক্ষ্মেী অবস্থিতিকালে তিনি ( দক্ষিণ বাবু) একদিন আমাকে বলিলেন যে তিনি বিধবাবিবাহ, অসবর্ণ বিবাহ ও সিভিল বিবাহ এককালে করিয়াছেন। র্তাহার ন্যায় সমাজসংস্কারক আর কে আছে ? দক্ষিণারঞ্জন ব্ৰাহ্মণের সহিত ক্ষত্ৰিয়কন্যার বিবাহ ও বিধবাবিবাহ সম্পূর্ণরূপে হিন্দুশাস্ত্রানুমোদিত জ্ঞান করিতেন। আমি যখন লক্ষ্মেী এ ছিলাম তাহার পূর্বে র্তাহার পুত্রবিয়োগ হইয়াছিল, কেবল পৌত্র বিদ্যমান ছিল। তিনি উইল না করিলেও এই পৌত্রের বিষয় পাওয়ার প্রতি র্তাহার কিছুমাত্র সন্দেহ ছিল না । লক্ষৌএ দক্ষিণাবাবুর ওখানে তিন সপ্তাহ অতিবাহন করিয়া ব্ৰাহ্মসমাজের সাম্বাৎসরিক উৎসবের অব্যবহিত পূর্বে কানপুরে ফিরিয়া আসি। সাম্বাৎসরিক উৎসবের দিবস হিন্দু ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের বিষয়ে এক দীর্ঘ বক্তৃতা করি। সেই বক্তৃতাতে প্রমাণ করি যে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম নূতন ধৰ্ম্ম নহে। যে আট মাস কানপুরে কাটাই তাহার মধ্যে একমাস হেমচন্দ্ৰ সিংহের বাটীতে ও আর একমাস ডাক্তার অক্ষয়কুমার দের বাটীতে থাকি, আর কয়েক মাস ভাড়াটিয়া বাটীতে থাকি। হেমচন্দ্ৰ সিংহ ব্ৰাহ্ম ছিলেন। অক্ষয়কুমার দে ব্ৰাহ্ম ছিলেন না। উভয়েই যারপর নাই আমাকে যত্ন করিয়াছিলেন। হেমচন্দ্ৰ সিংহ বড় মজার লোক ছিলেন । श्लूिडारद