পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So হয়। তাহার অনুষ্ঠিত কাৰ্য্যের মাধুৰ্য্যে অপর সক প্রতি প্ৰীতি-য়সে বিগলিত হয়। ] হে পরমাত্মন! তুমি জামাদের প্রাণের প্রাণ ও জীবনে? জীবন । তুমি আমাদের অন্তরতম প্ৰিয়তম পদাৰ্থ ; তোমার সমান আমাদিগের আর কে আছে? তুমি আমাদের একমাত্র সুহৃৎ । তুমি অন্তরে বিরাজমান থাকিয়া আমাদিগের শরীর সংসারের যাহা কিছু সকলি প্ৰাপ্ত হইতেছি । তুমি আত্মার আত্মা, তোমারই আশ্রয়ে আমাদের আত্মা স্থিতি করিতেছে। তুমি প্ৰাণের প্রাণ; তোমা হইতেই আমরা প্ৰাণ পাইয়াছি। হে নাথ ! তুমি আমাদের এত নিকটে, কিন্তু আমরা তোমা হইতে দূরে রহিয়াছি। তুমি আমাদের এমন সুহৃৎ, কিন্তু আমরা তোমাকে ভুলিয়া রহিয়াছি । হায়! আমাদিগের মনের অবস্থা ভাবিয়া দেখিলে আমাদের শরীরের শোণিত শুষ্ক হইয়া যায়। আমরা আর চেতনাবান মনুষ্য বলিয়াও পরিগণিত হইতে পারি না, কেননা একটু চেতনা থাকিলে আমরা আমাদের চেতনের চেতনকে দেখিতে পাইতাম । আমরা নিতান্তই পাষাণসমান অসাড় হইয়া গিয়াছি। নাথ ! এ দুৰ্গতি হইতে আমরা কিসে মুক্ত হইব ? তোমা ভিন্ন আমাদের আর উপায় নাই। তুমি কৰুণার সাগর; তুমি আমাদের আত্মাকে প্ৰকৃতিস্থ কর । আমরা যেন হৃদয়ৰামে সতত