পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১ই মাঘ। ১৭৯০ শক । , ( এই দিবসের বক্ততার সারাংশ এই স্থানে গৃহীত হইল। ) { ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম সৰ্ব্ব-সামঞ্জসীভূত ধৰ্ম্ম। উহাতে আত্মপ্রত্যয় ও বুদ্ধির সামঞ্জস্য আছে। উহাতে জ্ঞান ও ভক্তির সামঞ্জস্য আছে। উহাতে প্রীতি ও প্রিয় কাৰ্য্যের সামঞ্জস্য আছে। উহাতে শান্তি ও উৎসাহের সামঞ্জস্য আছে। উহাতে সংসার ও ঈশ্বরোপাসনার সামঞ্জস্য আছে। উহাতে সাংসারিক পরিণামদৰ্শিতা ও ধৰ্ম্মসাধনের সামঞ্জস্য আছে। উহাতে গুৰুভক্তি ও স্বাধীনতার সামঞ্জস্য আছে। উহাতে ধৰ্ম্মসাধনজন্য যে সকল পরস্পর আপাত প্ৰতীয়মান বিরোধী গুণ আবশ্যক, তাহার সামঞ্জস্য আছে। এতদ্দেশে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রখম প্রচারুকালে জ্ঞানের প্রতি অধিক ভরি দেওয়া হইত। ক্রমে সমাজে প্রীতি ও ভক্তি-ভাবের সঞ্চার হইতে লাগিল। এক্ষণে সেই প্রীতি ও ভক্তিভােব অসংযত বেগ ধারণ করিয়া কতকগুলি ব্ৰাহ্মকে গুৰুপূজায় উত্তীৰ্ণ । করাইবার সন্দেহ মনে উদ্রেক করিতেছে। কিন্তু ব্ৰাহ্মধর্মে । জ্ঞান ও ভক্তি দুয়েরই সামঞ্জস্য আবশ্যক। কম্পিত দেব দেবীর প্রতি পৌত্তলিকের ভক্তি আছে, কিন্তু তােহা কি বিহিত ভক্তি বলা যাইতে পারে? যদ্যপি আমরা বন্ধুর উৎকৃষ্ট