পাতা:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (প্রথম ভাগ).pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ سرا9، ] গুণ সকল না জানি, তবে তঁহাকে আমরা কি প্রকারে ভক্তি কুরিতে সমর্থ হইব ? সেই রূপ আমরা যদি ঈশ্বরের অনন্ত ও অনুপম লক্ষণ সকল জ্ঞান দ্বারা না জানিতে পারি, তবে কি প্রকারে তঁহাকে আমরা প্ৰীতি করিতে সমর্থ হইব ? আবার ওদিকে যদি কেবল তঁহাকে আমরা জানিলাম ও প্ৰীতি ভক্তি না করিলাম, তবে তঁহাকে জানায় কি ফল হইল ? প্ৰীতি ও ভক্তি বিহীন ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্মই নহে। জ্ঞান যদি কর্ণধার না থাকে, তবে সে ভক্তিকে গুৰুপূজায় ও অন্যান্য প্রকার পৌত্তলিকতায় উপনীত করে আর যদি ধৰ্ম্ম জ্ঞান প্রধান হয়, তবে সে নীরস ও কঠিন রূপ ধারণ করে, অতএব ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে জ্ঞান ও ভক্তি উভয়ের সামঞ্জস্য আবশ্যক। হে জগদীশ্বর ! যাহাতে আমরা জ্ঞান, প্রীতি ও অনুষ্ঠানের সামঞ্জস্য সম্পাদনা করিতে পারি। এমন সামর্থ্য আমাদিগকে প্ৰদান কর। হে পরমাত্মন! আমরা যেন উজ্জ্বল জ্ঞানপ্রভাবে তোমার বিশুদ্ধ স্বরূপ জানিতে সমর্থ হই । তোমাকে আমরা একান্ত মনের সহিত যেন ভক্তি ও প্রীতি করিতে সমর্থ। । হই ও সেই প্রীতি যেন ক্লাৰ্য্যে প্ৰকাশ করি। আমাদিগের আত্মাতে জ্ঞান ও প্রীতি ও আনুষ্ঠান এই তিনের মধ্যে কাহারও সাহিত কাহারও যেন বিরোধ উপস্থিত না হয়। আমাদিগের আত্মা যেন সুতান বীণা যন্ত্রের ন্যায় সর্বসমঞ্জস্যীভূত ভাবে তোমার মহিমা গান ও তোমার প্ৰিয় কাৰ্য সাধনে সততই নিযুক্ত থাকে। ও একমেবাদ্বিতীয়ম্।